বাগেরহাটের চিতলমারীতে অগ্নিকাণ্ডে জুহুর পাগল নামে এক ভ্যান চালকের বসত ঘর পুড়ে গেছে। এতে দরিদ্র ওই ব্যক্তি সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে। এ ঘটনায় মানবিক সাহায্যের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত জহুর পাগল সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলায় সন্তোষপুর ইউনিয়নের আদিখালী গ্রামের মো. সোহরাব মোল্লার ছেলে বাউল-ফকির মো. জহুর মোল্লা একই গ্রামের হারুন শেখের বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। গত সোমবার তিনি ভ্যান নিয়েরোডে বের হন। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের মাধ্যমে তার ঘরে আগুন লাগে। এ সময় প্রতিবেশিরা এসে আগুন নিয়ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। আগুনে জহুর মোল্লার দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।

রহনপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়  

প্রত্যক্ষদর্শী আনসার শেখ জানান, চিতলমারী-বাগেরহাট প্রধান সড়কের পাশে ওই বসতঘরটির অবস্থান। সোমবার সাড়ে ছয়টার দিকে হঠাৎ ওই ঘরটি আগুনে পুড়তে থাকে। শিল্পী জহুর মোল্লা তখন বাড়িতে ছিলেন না। এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিদ্যুতের তার বার বার জ্বলে ওঠায় ভয়ে সবাই সরে আসে।

বাউল-ফকির ভ্যানচালক মো. জহুর মোল্লা কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আগুনে তার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এখন বসবাসের আর কোন জায়গা নেই তার। আয়-রোজগারের একমাত্র ভ্যানটিও আগুনে পুড়ে গেছে। এখন কিভাবে বেঁচে থাকবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।

এ ব্যাপারে সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি আক্তার জানান, ভ্যানচালক জহুর মোল্লা অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। আগুনে তার ঘরটি পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে তাকে সরকারি বসতঘর দেয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আশা করি অচিরেই সে স্থায়ীভাবে সরকারি বসতঘর পাবেন।

চিতলমারী থানার ওসি (তদন্ত) লিয়াকত আলী জানান, আগুন লাগার খবর শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে।

যাযাদি/এস