প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৭:০৮

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কের যে অংশে প্রতি মিনিটে গাড়ির লাইন লেগে থাকতো, সে মহাসড়কটি শনিবার দিনভর ছিল ফাঁকা। নেই যাত্রীদের আনাগোনা। অতিরিক্ত গাড়ির কোন চাপ নেই। অনেকটা সুনশান নীরবতা। চিরচেনা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটির চিত্র দেখলে মনে হয় সড়কে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এমনই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের ৪৪ কিলোমিটার এলাকায়। তবে আন্তজেলা পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল অনেকটা কমে গেছে। সারাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামগামী বাসের ভাড়া বেড়েছে।

শনিবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামগামী বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাওয়া তিশা প্লাটিনাম বাসে ২৯০ টাকায় যাত্রী নেয়া হচ্ছে। শুক্রবারও যার ভাড়া ছিল ২৪০টাকা। অভিযোগ উঠছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাড়তি ভাড়া আদায়ের। একই বাসে ফেনীর ভাড়া ছিল ১০০ টাকা। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। তিশা প্লাটিনাম বাসের সুপারভাইজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে, চট্টগ্রাম সিটিতে বাস ধর্মঘট চলায় সেখানে আটকা পড়েছে বিপুল সংখ্যক গাড়ি। তাই চট্টগ্রামগামী বাসের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।

কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামগামী গ্রামবাংলা পরিবহনের টিকিট ম্যানেজার কেফায়েত উল্লাহ বলেন, আগে ২৪০ টাকা ছিল চট্টগ্রামের ভাড়া, আজ ২৭০ টাকা নেয়া হচ্ছে। মনির নামের এক বাস যাত্রী বলেন, ডিজেলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। আর বাস মালিকরা সিট প্রতি ৫০ টাকা বাড়িয়েছে। তবুও ঠিকমতো গাড়ি পাওয়া যায় না। দুর্ভাগ্য আমাদের।

 

যাযাদি/এসএস