চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ফটিকছড়িতে সভা ও মানববন্ধন 

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৩:০৩

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ফটিকছড়িতে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতির পর এবার কঠিন অবস্থানে গিয়ে প্রায় ৩হাজার শ্রমিক অনতি বিলম্বে শ্রমিকদের দ্বি-পাক্ষিক ২০২১-২২ সালের চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে মজুরি বৃদ্ধির জন্য এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার কর্ণফুলী চা বাগানে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, পঞ্চায়েত কমিটি ও চা শ্রমিকদের ব্যানারে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে চা-বাগানের মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা-সংসদের করা চুক্তি অনুযায়ী চা-শ্রমিকদের মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা হয়। দুই বছর পরপর এ চুক্তি নবায়নের কথা। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করা হয়। ওই চুক্তিতে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চা-সংসদ মজুরি ১৪ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শ্রমিকনেতারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবি জানান তাঁরা।

শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি নির্ধারণসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া পূরণের বিষয়ে ১ আগস্ট চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশীয় চা-সংসদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে দাবি মেনে নিতে সাত দিনের সময়সূচি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানায় সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার মজুরি বাড়ানোর জন্য তাঁরা প্রতিবাদ সভা এবং মানববন্ধন করেছে। দাবি না মানা পর্যন্ত এসব চলতে থাকবে বলেএ হুশিয়ারি দেন তাঁরা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, কর্ণফুলী চা-বাগানের কারখানার সামনে ২৫০০ থেকে ৩০০ হাজার শ্রমিক নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন পালন করেন। সেখানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নিরিঞ্জন নাথ, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বিপ্লব দে, ১০নং লাইন এর সবুজ দে, শ্রমিক সর্দার মো. জাবেদ হোসেন, চা শ্রমিক মিলন দে, চা শ্রমিক মিলন দে, পঞ্চায়েত কমিটির সহ সভাপতি শুকতারা, নিরবালা, মহিলা সর্দার বেবীরাণী, কুলুবালা, জোসনাবালা, অংক্রাই মারমা, পঞ্চবালা প্রমুখ। এ সময় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগানও দেন।

যাযাদি/ এসএইচ