শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ফেরত আসা এসএসসির ফরম পূরণের আংশিক টাকা ২০২১ সালে পাস করা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলীকে তার অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় মাগুরার মহম্মদপুরের দীঘা ইন্তাজ মোল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। একঘণ্টা তালাবদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে তালা খুলে দেন। নানা ঘটনায় আলোচিত দীঘা ইন্তাজ মোল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ব্যাচের ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী পাওনা টাকা বুঝে নিতে বিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ করেন। ১৫৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণের আংশিক টাকা পাবেন বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাযায়, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ফরম পূরণের আংশিক টাকা ফেরত দেয় শিক্ষা বোর্ড। সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে উক্ত টাকা আসলেও প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী ওই টাকা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফেরত দেন নি।
রোববার (১৪ আগষ্ট) টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিলো। সে মোতাবেক ৪০ থেকে ৫০ জন টাকা নিতে আসে। এ সময় প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলে তাদের কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে। এতে ওই শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে তাকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তালা খুলে দেন।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাব্বি ও সুমন হোসেন বলেন, ‘আশে পাঁশের সব স্কুলের টাকা শিক্ষার্থীরা ফেরত পেয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকা কেটে রাখতে চাইছেন।’
মানবিক বিভাগের হৃদয়, আল মামুন, ইমন জানায়, ‘হেড স্যার ৬২৫ টাকার পরিবর্তে আমাদের ২৫০ টাকা দিতে চাই। নবম ও দশম শ্রেণির বিভিন্ন বকেয়া দেখিয়ে টাকা কেটে নিতে চায়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘টাকা-পয়সার ব্যাপার হলে হেড স্যার অন্য কোনো শিক্ষককে কিছু জানান না।’
প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী বলেন, ‘বোর্ড থেকে আসা টাকা এখনও ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয়নি। তবুও ব্যক্তিগতভাবে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেই। কেন্দ্র ফি’সহ স্কুলের পূর্বের কিছু বকেয়া কেটে রাখার কথা বললে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ঘরের ভেতরে রেখে তালা লাগিয়ে দেয়।’
মহম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রামানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
যাযাদি/এস