ঝিনাইদহে হত্যা মামলার তিন আসামিকে ফাঁসির আদেশ
প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৫:৫৪
ঝিনাইদহে হত্যা মামলার তিন আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুর ১টার দিকে ঝিনাইদহের দায়রাা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা জেলার শৈলকুপা উপজেলা শিতলী গ্রামের খাঁন মোঃ আলাউদ্দীন হত্যা মামলার এ আদেশ দেন।
আমামীদের প্রত্যেককে গলায় ফাঁস দিয়ে রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর করতে হবে। ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত আসামিরা হলো ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস খাঁনের ছেলে রান্নু খাঁন, একই গ্রামের শামছুর রহমান খাঁনের দুই ছেলে জামাল খান ও কানু খাঁন। মামলার অপর আসামি শামছুর রহমান খাঁনকে আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর ৩ আসামী চান্নু খাঁন, জাফন খাঁন ও সাদী খাঁনকে বেকসুর খাালাস প্রদান করে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামে নিহত আলাউদ্দিনের ভাইয়ের পুত্রবধু শারমিন নাহারের সাথে সুপারি গাছের মালিকানা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় একই পরিবারের অপর বাসিন্দা রান্নু খানের। এরই জের ধরে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে আসামিরা শারমিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার স্বামী রিপন আলী খাঁনকে মারপিট শুরু করে। সে সময় তাদের চাচা খাঁন মো: আলাউদ্দিন তাদের রক্ষা করতে গেলে তাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়।
এসময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করে। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি উন্নত চিকিৎসার জন্য হলে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে দুপুর ১১ টার দিকে কামাারখালি ব্রীজ এলাকায় পৌছালে আলাউদ্দীন মারা যান। এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মোছাঃ শিউলী খাতুন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ৩ জনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড প্রদান করে আদেশ দেন। মামলার বাকি ৩ আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাশ প্রদান করে।
মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত নিহতের ছেলে রাশেদ খাঁন জানান, রায়ে আমরা খুশি। তবে মামলার তিন আসামীকে খালাশ দেওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছি। তাদের শাস্তির জন্য পুনরায় উচ্চ আদালতে আপিল করবো বলে মন্তব্য করেন।
যাযাদি/এস