ব্রয়লার মুরগির মাংস কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা
প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৮:০১
দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে দরিদ্রতম উপজেলা হচ্ছে খানসামা। এই উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। তাইতো বয়লার মুরগী কেটে কেজিতে বিক্রি করার প্রবণতা অনেক বেশি। গরু-ছাগলের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের আপ্যায়ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে বয়লার মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। সেই বয়লার মুরগির মাংস এক লাফে প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারগুলোতে গোটা বয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে৷ গত ৩ দিন আগেও প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকায়। আর কাটা বয়লার মুরগির মাংস ২০০ টাকা। তা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি আর কাটা মাংস ২৮০ টাকা।
বুধবার সরেজমিনে উপজেলার খানসামা ও পাকেরহাট বাজারের মুরগী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকানদার বয়লার মুরগি জবাইয়ের পর পরিস্কার করে সাজিয়ে রেখেছে। তবে ক্রেতার দেখা মিলছে না। আর যারা কিনতে আসতেছে তারাও দাম শুনে চলে যাচ্ছে কিংবা চাহিদার তুলনায় কম করে মাংস নিয়ে যাচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ দু'তিন দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০-৫৫ টাকা। আর কাটা বয়লার মুরগির মাংস ২০০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। তবে দেশি ও সোনালী মুরগীর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের কয়েক মাসের মতোই দেশি মুরগী ৩৮০ টাকা ও সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে।
খানসামা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রুবেল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও মুরগির দাম কম ছিল। তবে যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, সে হারে ফার্ম থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই হয়তো ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
পাকেরহাটের মুরগী ব্যবসায়ী মশিউর রহমান জানান, ঈদের পর কুরবানীর মাংস বাড়িতে থাকায় বাজারে বয়লার মুরগির চাহিদা কম থাকে। তারওপর আবার গরমের সময় মুরগী মারা যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই ক্ষতির আশাঙ্কায় অনেক মুরগির ফার্ম বন্ধ ছিল। ফলে সরবরাহ ঘাটতি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া পিকনিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে মুরগীর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। তবে বয়লার মুরগির খাদ্যের দাম সহনীয় হলেই দাম আবারো কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
যাযাদি/এস