বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে নেচে নেচে বলে ছিলেন, ক্ষমতায় এলে ১০ টাকা কেজি চাল দিব, ঘরে ঘরে চাকুরী দিব, বিনা পয়সায় সার দিব। আ.লীগের কথা ও কাজে মিল নাই। এটা তারা উত্তরাধিকারী সূত্রে পেয়েছেন। আ.লীগ সারা জীবন যুদ্ধ করেছে গণতন্ত্রের জন্য, এই আ.লীগ তো সেই আ.লীগ যে আ.লীগ সংসদের ভিতরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিনা ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। মোহাম্মদ উল্ল্যাহ কে পদত্যাগ করারও সুযোগ দেয় নাই। এই আ.লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে, অথচ তারা ৪টি পত্রিকা রেখে সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এই আ.লীগ তো সেই আ.লীগ যে, আ.লীগ সমস্ত রাজনৈতিক দল বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল।
১৯৭১ সালে আম্রকাননের বৈদ্যনাত তলায় প্রবাসি সরকার যখন শপথ গ্রহন করেছিল তখন কথাছিল কি? সাম্যের কথা ছিল, গণতন্ত্রের কথা ছিল এবং আমাদের সমঅর্থনৈতিক মুক্তির কথাছিল কিন্তু আ.লীগ যখন ক্ষমতাসীন হয়েছে, তখন শুনেছেন তাদের নেতা বক্তব্য দিয়েছিল, মানুষ পায় সোনার খনি, রূপার খনি, হীরের খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। এটি কিন্তু ৭৪, ৭৫ এর কথা তখন বিএনপি জন্ম হয়নি। কাজেই সে সময় তাদের নেতা তাদেরকেই বলে গিয়েছিলেন। আজকে চাকুরী শুধু আ.লীগ হলে পাওয়া যেতে পারে, তাও আবার দক্ষিণা দিতে হয়। তা না হলে আ.লীগ হলেও ছাড় নাই।
এ অবস্থায় দাড়িয়ে দ্রব্য মূল্যের যে উদ্ধগতি গালামহীন হালে বেড়েছে। আজকে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায় তাদের নাভীশ্বাস উঠেছে। সারা পৃথিবীতে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমে তখন আমাদের বাড়ে। যখন ৪০ ডলার ব্যারেল ছিল ডিজল ও পেট্রোলের দাম তখন কিন্তু তাদের তেল বিক্রি ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ হয়েছিল। এখন মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবার পর বাকী ৪০ হাজার কোটি টাকা কোথাও গেল তার কোন হিসাব নেই।
সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসিডর বলেছেন, তারা শুধু কথাই বলে কিন্তু জানতে চায় না, সুইজ ব্যাংকে কার টাকা আছে, কত টাকা আছে সরকার থেকে জানার অনুরোধ করা হয় না। তখন সরকার বলছে আমরা কাজ করছি। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে লোপাট করছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। প্রধামন্ত্রী জনগণের সামনে বললেন, গণ ভবনে আসলে ওদের চা খাওয়াব আর আমরা কি দেখলাম ভোলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নূর আলমকে পাখিরমত গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শত শত ভাইকে গুলি করা হয়েছে। এই হলো কি চায়ের দাওয়াত। এই আ.লীগ তো সেই আ.লীগ যারা ৭৪ সালে নঙ্গর খানায় ভাত খাইয়েছিল। ৭৪ সালে কুড়িগ্রামের বাসন্তি কাপরের অভাবে জাল দিয়ে লজ্জা নিবারন করেছিল। তৎকালীন দৈনিক বাংলা ও দৈনিক ইত্তেফাক কে এ ছবি ছাপানো হয়েছিল। এদেশে যত অবিচার যত অত্যাচার হয়েছিল সব করেছে আ.লীগ।
বিএনপির সহ সভাপিত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.এজেডএম জাহিদ বুধবার দিনাজপুরের হাকিমপুরে বিএনপি উপজেলা শাখা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে কথাগুলো বলেন।
উপজেলা সদরের বাংলাহিলি বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত উপজেলা শাখা কমিটির সভাপতি ফেরদৌস রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না, ছাত্র দল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মুন্না মুকুল, উপজেলা শাখা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বরশিয়ান নেতা আকরাম হোসেন মন্ডল, সহ-সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, উপজেলা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হাকিমপুর (হিলি) পৌর মেয়র সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, বিএনপি নেতা প্রভাষক শাহিনুর ইসলাম শাহীন, প্রভাষক এরফান আলী, হযরত আলী, ফরিদ খান, বিপুল, নাজমুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল নেতা শাহ্ আলম, এনামুল হক তাজ, আনোয়ার হোসেন, শাহী সোহাগ, মাঝহারুল ইসলাম রাজ, আলী হুদু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, স্বাধীনতা যদ্ধের ৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে চট্টগ্রামে সাহসীকতার সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন জিয়ারউর রহমান। তিনি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর কথা চিন্তা না করে রণাঙ্গনে ঝাপিয়ে পরে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
যাযাদি/এস