রাজধানীর উত্তরা ও তুরাগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পৃথক পৃথক স্থানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রবিবার ( ২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর ও তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুপুরে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে রাজউক জোন-২ পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড মোহাম্মদ সামছুল হকের নেতৃত্বে সেক্টরের ৬ নং রোডের তিনটি নির্মাণাধীন ভবনের নকশা বহিভর্‚ত অংশ উচ্ছেদ করা হয়। একই সাথে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেসব ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগও।
এর আগে সকাল ১১টায় উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকায় অপর একটি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন রাজউক জোন-২ পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড তাজিনা সারোয়ার।
অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামছুল হক যায়যায়দিনকে বলেন, আজকে আমরা তিনটি বিল্ডিংয়ের (নির্মাণাধীন) বর্ধিতাংশ ভেঙ্গে দিয়িছি। তারা প্ল্যানের বাইরে গিয়ে নির্মাণ কাজ করছিল।
অভিযানে এসে আমরা ম্যাপ দেখে দেখে এসব ভবনের বর্ধিতাংশগুলো উচ্ছেদ করি এবং ভবিষ্যতে যাতে নকশার ব্যতয় ঘটিয়ে নির্মাণ কাজ না করে সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছি।
অপর অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সরোয়ার যায়যায়দিনকে বলেন, এই অভিযান আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ। এখানে আবাসিক ভবনে তারা দোকান উঠিয়ে ভাড়া দিয়েছিল। ঘটনাস্থলে এসে আমরা এটি দেখতে পেয়ে উচ্ছেদ করছি।
এছাড়াও কিছু কিছু নির্মাণাধীন ভবনের অংশও উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা নকশা বহিভর্‚ত নির্মাণ কাজ করছিল।
তিনি বলেন, আমাদের উচ্ছেদ দেখতে পেয়ে অনেক ভবন মালিকই তাদের নকশা বহিভর্‚ত অংশ ভেঙ্গে ফেলেছে। মূলত এই ভ্রাম্যমান আদালত একটি চলমান প্রক্রিয়া যা পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।
এদিকে, এসব ভবনে উচ্ছেদে কারণ জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামছুল হক বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা (ভবন মালিকরা) রাজউক থেকে যে প্ল্যান নিয়ে আসে সেই প্ল্যানের বাইরে গিয়ে নির্মাণ কাজ করছে। এ ধরণের নির্মাণাধীন ভবনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
উত্তরা ও তুরাগে পৃথক এসব অভিযানে রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/মনিরুল