সংযোগ প্রতারণার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের মামলা!

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:২১

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

সংযোগ প্রতারণার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর  কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামের রাশেদুল ইসলাম রাশেদ নামের এক গ্রাহক।

উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা এলাকায় গ্রাহকের নিজ মালিকানধীন, ৫তলা ভবনের ৮টি বৈদ্যুতিক মিটার পূর্ব  নোটিশ ছাড়াই সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং একই স্থানে অন্য নামে ৮টি মিটারের সংযোগ স্থাপনের ঘটনায় এ মামলা দায়ের করেছেন বলে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য তুলে রাশেদুল ইসলাম নামের ওই ভুক্তভোগী।

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম রফিকুল আজাদ,এজিএম কম আনিছুল হক ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীসহ ৯জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির অভিযোগে এনে গাজীপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলায় অন্য আসামীরা হলেন,মোঃ আক্তার আলম,ফারজানা ইয়াসমিন,আমিরুজ্জান,সোহেল।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআই গাজীপুরকে নির্দেশনা দিয়েছেন ।

মামলার বাদী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার টেংরা এলাকায় ২.৭৫শতাংশ জমির উপর ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়িতে নিজনামে ৮টি মিটারের সংযোগ নিয়েছেন তিনি।  

যার হিসাব নং ৩৬২৫,৩৬২৬,৩৬২৭,৩৬৩৩,৩৬৩৬,৩৬৩৭,৩৬৩৮ ও ৩৬৩৯। দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর আকস্মিক ভাবে ও বিনা নোটিশে ওই ৮টি মিটারের  সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। একই দিন ফারজানা ইয়াসমিন নামে একজনের নামে নতুন ৮টি মিটার স্থাপন করে দেওয়া হয়।

রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, টেংরা মৌজার, সিএস খতিয়ান নং-৬৪,এস এ খতিয়ান নং-২৩৮,সি এস ও এস এ দাগ নং-৭৮২ আর এস খতিয়ান নং ১৩২, আর এস দাগ নং -৩৪৬২ তে আমার জমির পরিমান ২.৭৫ শতাংশ। সেখানে আমার নির্মিত পাঁচতলা বিল্ডিং আত্মসাৎ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দালিলিক প্রমাণ স্বরুপ বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজশে মিটারের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবী করছি।

এ বিষয়ে মামলায় অভিযুক্ত আক্তারুল আলম ও ফারজানা ইয়াসমিনের বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ  শ্রীপুর জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ রফিকুল আজাদ অভিযোগের দায় স্বীকার করে বলেন, এখানে প্রকৃত মিটার মালিক কে না জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে একই স্থানে অত্র মামলার  বাদী রাশেদুল হাসানের তালাক প্রাপ্ত সাবেক স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন এর নামে নতুন মিটার স্থাপন করা হয়। কিন্তু এখানে ফারজানা ইয়াসমিন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিটারের আবেদন করেন এবং তালাকের বিষয় গোপন রেখেছেন। যেহেতু আদালতে মামলা রয়েছে এখন সেখান থেকে যাকে মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হবে তার নামেই পূনঃ সংযোগ দেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম নুর মোহাম্মদ যায়যায়দিনকে বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।


যাযাদি/এসএস