শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে ডাকাতি, মাছ ও মালামাল লুট

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:১৫

বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র থেকে মাছ নিয়ে ফেরার সময় এফবি আল্লাহর দান ১ নামে এক ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জলদস্যুরা ওই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে প্রায় ৮ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে ট্রলারে থাকা ২২জন জেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মাছ ধরার কুলে পেরেক টুকে বন্দি করে রাখে এবং একজনের জেলের হাতের আঙ্গুল কেটে নেয়। এদিকে এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত দুই জেলে দুলাল (৫২) ও হেলালের (২৪) অবস্থা সংকটময় বলে জানায় জেলেরা।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বাঁশখালীর খাটখালী মোহনার ৮ কিলোমিটার দুরে গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটলেও জেলেদের রোববার রাতে উদ্ধার করা হয়। এরপর গুরুত্বর আহত জেলেদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। বর্তমানে জেলেরা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে, কোন জলদস্যূ বাহিনী এ কাজ করেছে, তা জানাতে পারেনি জেলেরা। কিন্তু ট্রলার মালিক জানায় ডাকাতদের সন্ধান পেয়েছেন তিনি।

এফবি আল্লাহর দান ১ ফিশিং ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর বলেন, টানা ১৪দিন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করার পর মাছগুলো বিক্রির জন্য সাগর থেকে শহরে ফেরার সময় খাটখালী মোহনার ৮ কিলোটার দুরে পৌছাতেই ডাকাতদের দুইটি ট্রলার আমাদেরকে ধরে মারধর করে সব মাছ ও মালামাল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১০লক্ষ টাকারও বেশি। এসময় ডাকাতরা সাথে থাকা ১৮টি মোবাইলও নিয়ে নেয়। আমাদের একজন জেলের হাতের আঙ্গুল কেটে নেয় তারা। এছাড়াও সবাইকে মারধর করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মাছের কলে ডুকিয়ে পেরেক টুকে দেয়। যদি ওখান থেকে ৩০মিনিটের মধ্যে বের হতে না পারতাম তাহলে আমরা সবাই ওখানেই মারা যেতাম।

এফবি আল্লাহর দান ট্রলারের মালিক আবু তৈয়ব বলেন, শুক্রবার রাত ৯’টার দিকে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে ফেরার সময় খাটখালী মোহনা থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে দস্যূ বাহিনী আমার ট্রলারে থাকা সকল মাছ ও মালামাল লুট করে নেই। যার মূল্য ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। একজন জেলের হাতের আঙ্গুলও কেটে নেয় তারা। বাকী জেলেদের মারধর করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মাছ রাখার কলে ডুকিয়ে পেরেক টুকে দেই। যদি জেলেরা ৩০ মিনিটের মধ্যে ওখান থেকে বের হতে না পারত তাহলে নিমিষেই ওখানে ২২ জন জেলের মৃত্যু হতো।

বাঁশখালী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দু শুক্কুর বলেন, একটা সময় বঙ্গোসাগরে ডাকাতি কমে গেলেও বর্তমান সময়ে আবারও জলদস্যুদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে জেলেরা ভয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে না। আমরাও ট্রলার মালিকরাও ভয়ে থাকি। যার কারনে ট্রলার মালিকদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ বলেন, এ বিষয়ে শুনেছি। তারপর নিজেই খবর নিয়েছি।তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে