সময় টিভির বার্তা প্রধানকে পুলিশের হয়রানির ঘটনায় ডিইউজের নিন্দা 

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:২০

যাযাদি ডেস্ক

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশকে বিভিন্নভাবে পুলিশি হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বৃহস্পতিবার ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, রংপুরে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে মুজতবা দানিশকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর ফলে সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে এক ধরণের অবিশ্বাস্য পরিস্থিতির তৈরি হবে। 

বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর বিষয়ের সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলেও তার লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাঁড়ে চাপানোর মতো করে এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের সব সময় হয়রানি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানিমূলক ধারা বাতিলের দাবিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বরাবরই অনড় অবস্থানে রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। উল্টো সাংবাদিকরা নানাভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। 

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই ধরণের হয়রানিমূলক তৎপরতা বন্ধের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থাকা সাংবাদিক নিবর্তনের ধারাগুলো বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছে।  

বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তখন সরকারের বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চক্র নিজেদের দুর্নীতি-অনিয়ম-অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ওই চক্রটির কর্মকাণ্ড সরকারের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম নীতিকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তেমনিভাবে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি করছে। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা অন্য কোনোভাবে সাংবাদিক হয়রানির যে কোনো পদক্ষেপ মোকাবিলায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় প্রয়োজনে রাজপথের অবিরাম সংগ্রাম চলবে। 
যাযাদি/ এম