বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জগন্নাথপুর উপ-নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন সৈয়দ তালহা আলম

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:১১

নির্বাচনের দুই মাসের মাথায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের মৃত্যুতে পদ শূন্যে হওয়ায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও এরই মধ্য প্রবাসী অধ্যুষিত এই উপজেলার বিভিন্ন প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে।

রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বৃহত্তর পীরেরগাঁওয়ের গ্রামবাসীদের নিয়ে পীরেরগাঁও ও ইশবপুরের ওয়ারিশরা অনুমতি নিয়ে সকলের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে প্রার্থীতা ঘোষনা করেন। রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দিয়ে জানান দেন।

তিনি লেখেন প্রিয় জগন্নাথপুরবাসী, আস সালামু আলাইকুম এবং আদাব। আমি আপনাদের সৈয়দ তালহা আলম বিগত কিছুদিন ধরে ভাবতেছি যে উপজেলা উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কি না। আসলে বর্তমান নির্বাচন ব্যাবস্থা এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে তা আশা করা বোকামি। তার পরেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে জগন্নাথপুরবাসীর স্বার্থে ব্যালটে একজন জগন্নাথপুর এবং বাংলাদেশের স্বপক্ষের এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তা চেতনার একজন প্রার্থী থাকা অত্যন্ত জরুরি।

বিগত মহামারী করোনা এবং প্রলয়ংকারী বন্যায় আমি আপনাদের পাশে ছিলাম। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পরেও আমি আপনাদের পাশে থেকেছি। এই নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক আমি জগন্নাথপুর এবং বাংলাদেশের পক্ষে আছি। এই নির্বাচনে জগন্নাথপুরবাসীর ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রার্থী হিসেবে আমি প্রার্থিতা করতে চাই। বিগত কিছুদিন আগে আমি ফেসবুকে একটি জরিপ করলে, ৭৮% মানুষ আমাকের প্রার্থীতা করার পক্ষে মতামত দেন, আমার পরিবার শাহ দামড়ি (রহঃ) এর পীরেরগাঁও এবং ইশবপুরের ওয়ারিশরা আমাকে অনুমতি দেন এবং আজকে আমার বৃহত্তর পীরেরগাঁওয়ের গ্রামবাসি পূর্ণ সমর্থন দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আপনাদের সৈয়দ তালহা আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জগন্নাথপুর উপজেলার উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা করলাম। আশা করবো বিগত নির্বাচনে যারা দলগত নির্বাচন করার কারণে সামনে আসতে পারেননি, এবার তারা মন খুলে কাজ করতে পারবেন। ইনসা আল্লাহ এবার দল মত নির্বিশেষে জনগণের মার্কা নিয়ে জগন্নাথপুরবাসী সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। জয় পরাজয় বড় কথা নয়, অন্যায়ের কাছে যে আমরা জগন্নাথপুরবাসী মাথা নত করিনি সেটাই বড় কথা। বিনীত, আপনাদের জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহা আলম।

এ ব্যাপারে সৈয়দ তালহা আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আমি খেজুর গাছ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো। নির্বাচন কমিশন যে প্রতিক দেন সে প্রতিকের প্রার্থী থাকবো

উল্লেখ্য যে, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকমল হোসেন ৪ হাজার ৩৭০ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীকে ২৪ হাজার ১২০ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়তের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়েছিলেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে