ঠাকুরগাঁওয়ে রুয়েট পাশ প্রকৌশলী গোলাম আজমের (২৯) হাতে তার বাবা ফজলে আলম (৫৮)খুন হয়েছেন। খুনের পর ঘাতক নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। প্রতিবেশী স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ঘাতক গোলাম আজম মানসিকভাবে উম্মাদ সোমবার নিহতের(৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে নিজ বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ফজলে আলম (৫৮) জেলার পৌরশহরের একুশে মোড় শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। বাবাকে হত্যার পর ছেলে গোলাম আজম নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।
নিহতের প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, ফজলে আলম একজন সজ্জন ও পরিশ্রমী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছেন। গোলাম আজম তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে সবচাইতে মেধাবী। তার আরেক ছেলেও ব্যাংকার। গোলাম আজমও রুয়েট থেকে প্রকৌশলে ডিগ্রি নেয়ার পরে বিভিন্ন ব্যাংকে চাকুরী করেন। সর্বশেষ এক মাস আগেও তিনি দিনাজপুরে একটা ব্যাংকে চাকুরি করেছেন। কিন্তু এক পর্যায়ে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়ায় কোনো চাকুরিই তিনি বেশিদিন করতে পারেননি। তার বাড়িতে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা চলছিল যা গোলামের মনপূত নয়। এই চিকিৎসার ওষুধ খাওয়ায় অনিচ্ছুক হওয়ায় জোর করে ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে তিনি বাবার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে একাজ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ঘাতক গোলাম আজম পুলিশের কাছে বলেছেন, তিনি পাগল না তবু তাকে পাগল বলে সাব্যস্ত করা এবং পাগলের ওষুধ খাওয়ানো নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাকে পাগল হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্বজনরা, তবে সেটা তাকে বাঁচাতে এটা তারা বলছেন তদন্ত হলেই সব সত্য বেড়িয়ে আসবে।
নিহতের ভাগ্নে বউ সালমা জানান, রুয়েট থেকে পাশের পরে গোলাম আজম বিভিন্ন ব্যাংকে চাকুরী করেন। তবে মানসিক সমস্যার কারণে কোনো জায়গায়ই স্থির হতে পারেননি। বিষয়টি জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
যাযাদি/ এস