শেষ হলো শেরপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য  শাহ্ সূফী হযরত শেরআলী গাজী রহঃ ওরস মোবারক 

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৩ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৪

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজির খামার ইউনিয়নে অবস্থিত ৫ দিনব্যাপী শাহ্ সূফী হযরত শেরআলী গাজী রহঃ এর পবিত্র ওরস মোবারক শুরু হয় এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শেষ হলো । শেরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য শের আলী গাজী ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে শেরপুর পরগনার শেষ মুসলিম জমিদার।

 তিনি দীর্ঘ ২১ বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তাঁর নামানুসারে শেরপুর জেলার নামকরণ করা হয়। মৃত্যুর পর শের আলী গাজীকে খামারের গীদদাপাড়া ফকির বাড়িতে সমাহিত করা বাংলার নবাবী আমলে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী দশকাহনিয়া অঞ্চল বিজয় করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন।

 এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহনিয়ার নাম হয় শেরপুর। তখনও শেরপুর রাজ্যের রাজধানী ছিল গড়জরিপা। বর্তমান গাজীর খামার ইউনিয়নের গিদ্দা পাড়ায় ফকির বাড়িতে শের আলী গাজীর মাজার(Sher Ali Ghazir Mazar) এবং নকলা উপজেলার রুনী গাঁয়ে গাজীর দরগাহ অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে এবং পাকিস্তান আমলে নাম হয় শেরপুর সার্কেল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেরপুরকে ৬১তম জেলা ঘোষণা করা হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। ১৯৭৯ সালে শেরপুরকে মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত করে জেলার ৫টি থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। জমিদারি আমলে ১৮৬৯ সালে শেরপুর পৌরসভা স্থাপিত হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহ্ সূফী হযরত শেরআলী গাজী রহঃ এর পবিত্র ওরস মোবারক শান্তিপূর্ন্ ভাবে শেষ হয় ।  স্থানীয় গাজির খামার ইউপিঃ চেয়ারম্যান  ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আওলাদুল ইসলাম আওলাদ, এর  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি শেরপুরের সু-যোগ্য জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার , বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুক্তদিরুল আহাম্মেদ ( সার্বিক) শেরপুর সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস, মোঃ মাহমুদুল হক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক  ( শিক্ষা ও আইসিটি, মোঃ মনিরুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার  ভুমি  মোঃ উজ্জ্বল হোসেন ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  ও বছিরুল ইসলাম বাদল (ওসি )শেরপুর সদর থানা  ।

সহকারী কমিশনার  ভুমি  মোঃ উজ্জ্বল হোসেনের সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন ছাপ্পান্ন
 হাজার বর্গমাইল আয়তনের বাংলাদেশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, দৃষ্টিনন্দন জীবনাচার মন কাড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক মসজিদ ও মিনার, নদী, পাহাড়, অরণ্যসহ হাজারও সুন্দরের রেশ ছড়িয়ে আছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত।

প্রতিটি স্থানের নামকরণের ক্ষেত্রে কিছু জনশ্রুতি রয়েছে। এসব ঘটনা ভ্রমণপিপাসু উৎসুক মনকে আকর্ষণ করে। তাই বাংলা ট্রিবিউন জার্নিতে ধারাবাহিকভাবে জানানো হচ্ছে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেরপুরকে ৬১তম জেলা ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে তা স্থগিত হয়ে যায়। ১৯৭৯ সালে শেরপুরকে মহকুমা ও ১৯৮৪ সালে ।জেলায় উন্নীত করা হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধ হতে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত শেরপুরবাসীর রয়েছে দীর্ঘ ১০০ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস।
এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহনিয়ার নাম হয় ‘শেরপুর’। বর্তমান গাজীর খামার ইউনিয়নের গিদ্দা পাড়ায় ফকির বাড়িতে শের আলী গাজীর মাজার ও নকলা উপজেলার রুনী গাঁয়ে গাজীর দরগাহ অবস্থিত।

শেরপুরের ঐতিহ্যগুলো হলো ঘাগড়া খান বাড়ি মসজিদ, মাই সাহেবা মসজিদ, গড়জরিপা বারদুয়ারী মসজিদ, পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি, রংমহল, গোপীনাথ ও অন্নপূর্ণা মন্দির, লোকনাথ মন্দির ও রঘুনাথ জিওর মন্দির, জিকে পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, বারোমারি গীর্জা ও মরিয়ম নগর গির্জা। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে গজনী অবকাশ কেন্দ্র, মধুটিলা, রাজার পাহাড় ও বাবেলাকোনা, নয়াবাড়ির টিলা, পানিহাটা-তারানি পাহাড়, কলাবাগান, সুতানাল দীঘি।

আমরা শেরপুর কে আরো ঐতিহ্যবাহী করে গড়ে তুলতে সবাই মিলে  কাজ করবো এবং শেরপুর   কে দেশের শীর্ষ্ স্থানীয় পর্যাটন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন ইতিহাস মন্ডিত নিদর্শ্ন গুলি কে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরবো ।
এসএম