ঘাটাইলে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকায় আদায়

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৩

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পৌর এলাকার বানিয়া পাড়া গ্রামে মা মমতাজ বেগম (৫৫) মেয়ে লাবনী আক্তার (২৭) গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল গ্রামের প্রেমিক শরিফুল (৪০) বিরুদ্ধে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ৩০ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল্লা উদ্দিন  বাদী হয়ে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছে। 

মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী জানান, জালাল উদ্দিনের ঢাকার সেগুনবাগিচা বাসায় বসবাস করেন। তবে ঘাটাইল পৌর এলকার শান্তিমহল ভাড়া বাসা বসবাস করতো । সেখানেই মমতাজ বেগমের (৫০)এর মেয়ে লাভনী আক্তার কে আড়াই লক্ষ টাকা নগদ দেনমোহর  দিয়ে  ৭/১১/২২ তারিখে বিবাহ ন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পরপরই  স্বামী জালাল উদ্দিনের কাছে জমি ক্রয় করার কথা বলে ৩০ লক্ষ টাকা দারি করে। তার কথা মতে স্বামী জালাল উদ্দিন ১৫/১১/২২ তারিখে ঢাকা তোপখানা রোড ইসলামী ব্যাংক শাখা হতে ০১১৮১২২০০০২১৪৮১ হিসাব নং থেকে/ ৬৭০৯৭৪৬নম্বর চেকের মাধ্যমে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক(ইউসিবি) ঘাটাইল শাখার অনুকুলে সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১৫৭৩২০৯০০০০০/২০০০০০০তে (বিশ লক্ষ টাকা) টাকা পাঠিয়ে দেন।পরে আরো নগদ ১০০০০০০ (দশ লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রেমিক শরিফুল কে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিয়ের আগেও লাভনী আক্তারের একাধিক বিয়ে হয় এবং তার আগের ঘরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে লাভনীর গ্রামের বাড়ি বানিয়াপাড়া ও বর্তমান ভাড়া বাসা শান্তিনগর এলকায় গেলে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ প্রতিবেশী জানান মা, মমতাজ বেগম  ইতিপুর্বে রংপুর এক ধন্যাঢ্য বৃদ্ধ কে বিয়ে করে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে  পালিয়ে আসে।

ঘাটাইল পৌর সভার ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রুবি হোসাইন জানান, টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুরোটাই সত্য। মা মেয়ের যোগ সাজসে ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করাই তাদের পেশা। 

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম (পিপিএম )জানান, বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়ের ঘটনা সত্য।

এসএম