ভালোবাসা দিবসে শাশুড়িকে নিয়ে জামাই উধাও, শশুরের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৯

যাযাদি ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

ভালোবাসা দিবসে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন জামাই। স্ত্রী ও জামাইয়ের বিরূদ্ধে মামলা করেছেন শ্বশুর। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মির্জাগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্বশুর হালিম সিকদার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস মামলাটি আমলে নিয়ে জামাই-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত জামাই মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫) একই গ্রামের মো. মুনসুর হাওলাদারের ছেলে। 

মামলার এজাহার  সূত্রে জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ গ্রামের হালিম সিকদারের বড় মেয়ের সাথে একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় ৫ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই সাইদুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। শশুর হালিম সিকদার কাজে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে শাশুড়ির সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন জামাই সাইদুল ইসলাম। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় শশুর হালিম সিকদার তার বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঢাকা থেকে এসে প্রতিবেশিদের কাছে জানতে পারেন তার স্ত্রী (শাশুড়ি) জামাইয়ের সাথে পালিয়ে গেছে। 

মামলার বাদি শশুর হালিম সিকদার বলেন, বিয়ের পর জামাই সাইদুল আমাদের ঘরেই বসবাস করত। তাদের একটি ৮মাসের শিশু কন্যা রয়েছে। আমি মাসে ২০-২৫ দিনের বেশি কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময়ে পরিবারের সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়ায় জামাই সাইদুল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোজাঁখুজির পর তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি। 

বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন বলেন, শশুর হালিম সিকদার এবিষয়ে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরূদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। 

যাযাদি/ এস