ছাতকে দু'গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত-১, আহত শতাধিক,  আটক-২০

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৩, ১৪:০০

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছবি-যাযাদি

ছাতকে দু'গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো শতাধিক ব্যক্তি। ছাতক পৌরশহরের ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত সুরমা ব্রীজের গোলচত্তর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, মামুন ও সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। 

রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল, আফতাব উদ্দিনসহ অন্যান্য আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলাম মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর পুত্র। 

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গোলচত্তর এলাকায় যুবক-যুবতি টিকটক ভিডিও করার সময় তাদের বাঁধা দেয় ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র রাজ্জাক, আহমদ আলীর পুত্র মান্নাসহ তাদের সহযোগিরা। এ সময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র মামুনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ নিয়ে প্রথমে দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। পরে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ভাঙ্গা ইট-পাথর, কাঁচের বোতল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা গোলচত্তর এলাকায় বেশ ক'টি দোকানে ভাংচুর করেছে। একটি পিকআপ ভ্যান, একটি মোটরসাইকেল ও ভাংচুর করা হয়েছে।

ছাতক থানা পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক-সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। 

যাযাদি/ এস