বেতাগী খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিডি’র ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৭ কেজি চাল সরবরাহ

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৫

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার বেতাগী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিজিডি ও মৎস্যজীবী জন্য বরাদ্ধকৃত চাল ৩০ কেজির বস্তায় ২৭ কেজি করে সরবরাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

শনিবার (১৮ মার্চ) উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের ৭২ টন ভিজিডি ও মৎস্যজীবী জন্য বরাদ্ধকৃত চাল খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ শুরু হয়। এ সময় বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে কোন বস্তায় ২৪ আবার কোন বস্তায় ২৭ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হয়। মাপে কম দেওয়ার কারণে ইউপি সচিব, ইউপি সদস্য, খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের সাথে বাকবিতান্ডা শুরু হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।  

সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সচিব ভবরঞ্জন হাওলাদার অভিযোগ করেন, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ৭২ টন (২ হাজার ৪শত বস্তা) চাল নেওয়ার জন্য ইউপি সদস্যসহ তিনি বেতাগী খাদ্য গুদামে আসে। ট্রলারে চাল ভর্তি করা শুরু হলে চালের বস্তা পুণ:সেলাই দেখে তাদের সন্দেহ হলে তারা সাংবাদিকদের খবর দেয়। গণমাধ্যম কর্মিদের উপস্থিতিতে ট্রলারের ভেতরে রাখা বস্তাগুলো পরিমাপ করার সময় ২৪ কেজি থেকে ২৭ কেজি চাল পাওয়া যায়। খাদ্য গুদামের ভেতরে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতে সেখানের রক্ষিত চালের বস্তাগুলো পরিমাপেও হের ফের ঘটে। ২নং গুদানে চালের বস্তা খোলা এবং সেখানে বস্তা সেলাইয়ের মেশিনও দেখা গেছে।  

সরিষামুড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত চালের অধিকাংশ বস্তার মুখ স্থানীয়ভাবে পুন:সেলাই করা। এসব বস্তার চাল আগে ভাগে সরানোর পর পুন:সেলাই করে তা তাঁদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে পরিমাপে চাল কম পাওয়া যাচ্ছে।

বেতাগী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিগ্যান দেবনাথ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। চাল বিতরণে পরিমাপে কম দেওয়ার কোন সূযোগ নেই।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এস