সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করে যাচ্ছে: ডা. মনসুর রহমান এমপি

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ২০:২০

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমান বলেছেন, 'বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ সমভাবে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশে আমরা সব ধর্মীয় উৎসব একসঙ্গে পালন করি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করে যাচ্ছে।'

রোববার দুপুরে পুঠিয়ার সড়গাছিতে তাহেরপুর গোপাল ঘাটি মহাশ্মশান কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বারুণী পূণ্যস্নান উৎসবের ১৪তম বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন সাংসদ ডা. মনসুর রহমান।

স্কন্দ পুরাণে লেখা আছে যে, চৈত্র মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত সূর্যগ্রহনের জন্য গঙ্গাস্নানের যে ফল সেই ফল লাভ করা যায়। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ।বাঙলা সনের প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐ দিনটি শনিবার হয় তবে বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে। এই স্নানটি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি পূন্যস্নান উৎসব। জীব জগতের পঙ্কের মধ্যে পথ চলতে গিয়ে পাপাচারে পূর্ণ, ক্লেদাক্ত মুনস্যকুল এই পূণ্যস্নানের মধ্যমে পাপ মুক্ত হয়।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও উৎসবে যোগ দেয়া হিন্দু ধর্মালম্বী প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এম