শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিঙ্গাইরে ভূমিহীনদের জন্য প্রস্তুত ১৬৬ টি পাকা বাড়ি

সিঙ্গাইর প্রতিনিধি
  ২০ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৬

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহিত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় জমিসহ টিনসেড পাকা বাড়ি পাচ্ছেন ১৬৬ ভূমিহীন পরিবার। ইতিমধ্যে এসব বাড়ির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দিপন দেবনাথ জানান, চতুর্থ পর্যায়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ১৬৬ ভূমিহীন পরিবারকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ধল্লা ইউনিয়নে ৯টি, চান্দহর ইউনিয়নে ৪১টি, চারিগ্রাম ইউনিয়নে ৩৯টি, জামশা ইউনিয়নে ৮টি, বায়রা ইউনিয়নে ২৩টি, বলধারা ইউনিয়নে ৮টি, তালেবপুর ইউনিয়নে ১১টি, জয়মন্টপ ইউনিয়নে ১৭টি ও সায়েস্তা ইউনিয়নে ৯টি বাড়ি রয়েছে। দুই শতাংশ জমির উপর নির্মিত প্রতিটি বাড়িতে দুটি শোবার ঘর, একটা রান্না ঘর, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা শৌচাগার ও একটা বারান্দা রয়েছে। সবজি ও ফলজ গাছ রোপনের জন্য বারান্দার সামনে ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি বাড়িতে সরকারি খরচে বিদ্যুৎ সংযোগসহ সুপেয় পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২২ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারান্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। ওই দিনই উপকারভোগীদেরকে ঘরের চাবি ও জমির দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ইউএনও আরও জানান, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ স্যারের দিকনির্দেশনায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জালাল উদ্দিন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তারা (নায়েব) নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাদের সহযোগীতায় খাস জমি চিহ্নিত ও অবৈধ ভাবে দখলকৃত জমি উদ্ধার করে গৃহহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া ব্যবসায়ীরা সাশ্রয়ী মূল্যে নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করায় বাড়ি তৈরির গুণগতমান ঠিক রাখা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে সিঙ্গাইর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে ২০৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জালাল উদ্দিন বলেন, বাড়ি তৈরির মান যাচাই ও সর্বশেষ খবর নিতে সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ। ঘরের নির্মাণকাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এদিন আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে নির্মিত ঘর পরিদর্শন ও সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন ও তাদের সাথে কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলোনা, তারা আজ পাকা বাড়িতে থাকছেন। গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি, কবুতর পালন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সমাজের অবহেলিত এসব হতদরিদ্র মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে ছেলে-সন্তান নিয়ে শান্তিতে আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাই চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসরত পরিবারের সবধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আশপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণ, খেলার মাঠ, পুকুর, কবরস্থান, ফুল-ফলের বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে