ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর শান্তা হত্যার প্রধান আসামি আসাদ আটক
প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১

ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর শান্তা হত্যার প্রধান আসামি তার স্বামী আসাদ ওরফে বাচ্চু কে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানায়, ফরিদপুরে একটি ফার্ম থেকে গত ২৫ অক্টোবর বুধবার ২০২২ তারিখে ফরিদপুররে মধুখালী পৌরসভার এলাকার নিজ স্ত্রী শান্তা(২২) কে খুন করে আসামী আসাদ@বাচ্চু পালিয়ে যায়। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিস এগ্রো ফার্ম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম শান্তা এবং তার
স্বামীর নাম বাচ্চু শেখ (৪০)। তাদের দুজনের বাড়ি মধুখালী উপজেলায়। শান্তা ফার্মের শ্রমিক ছিলেন। তার স্বামী বাচ্চু ফার্মের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার সকালে ১০টার দিকে শ্রমিকরা ফার্মের আবাসিক কক্ষে শান্তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ফার্মের মালিককে জানান। পরে ফার্মের মালিক ইদ্রিস মিয়া থানায় জানালে পুলিশ মরদেহটি গিয়ে উদ্ধার করে।
থানা ও র্যাব সূত্রে আরো জানা যায়, আসামী বাচ্চু একজন লোভী ও ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। এর আগেও সে দুইটি বিবাহ করেছে। পূর্ববর্তী স্ত্রীদেরকেও নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভিকটিম শান্তাকে বিয়ের ৩ মাসের মাথায় যৌতুকের টাকা না পাওয়ার জন্য নির্যাতনকরে হত্যা করে। পালিয়ে গিয়ে আতœগোপন করে। উক্ত ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। কোতয়ালী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী গ্রেফতারের জন্য র্যাবের সহযোগিতা চান। পরে র্যাব-৮ সিপিসি-২ (ফরিদপুর ক্যাম্প) ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং
পালাতক আসামীর অবস্থান নোয়াখালীতে নিশ্চিত করে।
পরে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এবং র্যাব- ৮, সিপিসি-২ এর যৌথ অভিযানে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতা নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকায় ২৫ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় অভিযান পরিচালনা করে মূল হত্যাকারী আসাদ ওরফে বাচ্চু (৪০) কে আটক করা হয়। সে রাজবাড়ী জেলার কানাই মাতুব্বর গ্রামের সাত্তার শেখ এর পুত্র।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অত্র খুনের ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামী আসাদ ভিকটিম শান্তা(২২) কে খুন করে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষে ফরিদপুর থেকে পালিয়ে গিয়ে নোয়াখালীতে আত্মগোপন করে।
যাযাদি/ এসএম