বরুড়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সাহস লাইব্রেরি

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৮

বরুড়া প্রতিনিধি

কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সাহস লাইব্রেরিতে ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। 

সাহস লাইব্রেরি র সাধারণ সম্পাদক ও সাহস এর প্রধান সমন্বয়কারী সবুর বাদশা উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন - সাহস লাইব্রেরি এ বছর সেরা পাঠাগারের সম্মাননা পেয়েছে যা বরুড়া তথা কুমিল্লা জেলার জন্য গৌরবের। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের শাহাদতবরণকারী শফিক, রফিক, জব্বার, বরকতের রক্তে রচিত হয় স্বাধীনতার বীজ। ১৯৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান হয় ।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়।স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়  বাঙালি জাতি গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং এই জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। পশ্চিম পাকিস্তান-কেন্দ্রিক সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে এবং নির্মম গণহত্যা শুরু করে। তারা নির্বিচারে সাধারণ বাঙালি নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং পুলিশ ও ইপিআর কর্মকর্তাদের হত্যা করে । সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে অস্বীকার করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রভাষক মোঃ ইব্রাহিম ও শিক্ষক মনির হোসেন কুমিল্লার প্রবীন তবলাবাদক সত্য মোদক। বক্তারা উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বলেন আজ স্বাধীনতার এই ক্ষণে আমরা স্মরণ করছি সেই সকল দেশপ্রেমিক শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁদের আত্নত্যাগে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, প্রিয় বাংলাদেশ। বক্তারা সমাজের সকল কুসংস্কার দূর করে একটি সভ্যসমাজ ও শিক্ষিত জাতি গঠনে সাহস লাইব্রেরির সাথে থেকে কাজ করার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।  

বক্তারা আরো বলেন- ১৯৪৮সালে বাংলাভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালীর অধিকার আদায়ের সূচনা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালে পাই রাষ্ট্র ভাষা বাংলা আর ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১’সালে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে ও স্বাধীনতা লাভ করে। 

বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে হবে। বক্তারা সাহস লাইব্রেরির উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে শুভেচ্ছা স্বরূপ বই উপহার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সাহস লাইব্রেরির সদস্যদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এসএম