রাজশাহীর দুর্গাপুরে আ.লীগের রাজনীতি ফের উত্তপ্ত, পাল্টাপাল্টি মিছিল-কর্মসূচি

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৩, ২০:৪০

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি পুণর্বহাল করাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুর্গাপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার রেশ না কাটতেই বুধবার বিকেলে ফের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার অনুসারীরা। তবে পুলিশের বাধার কারনে উভয় পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান নিতে পারেনি। ফলে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

বুধবার বিকেলে সিংগা বাজারে মিছিল বের করে স্থানীয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের অনুসারী নেতারা। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খান ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে মিছিলে নেতৃত্ব দেন পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান, পৌর ছাত্রলীগের আহ্ববায়ক সোহেল রানা প্রমুখ।

সিংগা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়ে সরকার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে মিছিলটি শেষ করা হয়।

অপরদিকে, একই সময়ে সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার অনুসারী নেতারা পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। হলমাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলা মোড় ঘুরে এসে থানা মোড়ে পুলিশী বাধায় মিছিলটি শেষ হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি পুণর্বহাল করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের অনুসারী নেতারা। ওই মিছিলের প্রতিবাদে পাল্টা মিছিল বের করেন সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার অনুসারীরা। উভয় পক্ষের লোকজন মিছিল নিয়ে সোনালী ব্যাংকের সামনে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের অনুসারী আমিনুল হক টুলু সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।

পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি পুণর্বহাল করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সংঘর্ষের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুর্গাপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি। স্থানীয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমান ও সাবেক সাংসদ দারার অনুসারী নেতারা এই দ্বন্দে জড়িয়েছেন। তবে বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে বুধবার বিকেলে পুণরায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ। তবে থানা মোড়ে পুলিশী বাধার কারণে কোনো পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান নিতে পারেননি।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।