লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় অংশ নেয় ৪০ জন

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৩, ১২:২৭

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে ৪০ জন।  হত্যা মামলায় দুই আসামি দেওয়ান ফয়সলা ও আলমগীরের স্বীকারোক্তি বিষয়ে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ সাংবাদিক ব্রিফিং করেন। 

বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জোড়া খুন মামলায় প্রেস করেন।

আসামিদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাণ্ডে ৭/৮ জন করে ভাগ  হয় ৫ গ্রুপে তারা পোদ্দার বাজারের বিভিন্ন পয়েন্ট অবস্থান নেয় এবং এই ৪০ জনকে সহায়তা করার জন্য আরো ৪০/৫০ জন পোদ্দার বাজারে অবস্থান করে। ৫টি গ্রুপের প্রত্যেকটি গ্রুপে ৪/৫ টি করে আগ্নে অস্ত্র ছিলো। জোড়া খুনের আগে পোদ্দার বাজারের পাশ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার চাটখিলে ঘটনার দিন দুপুরে ৩ জন মিলে খুনের পরিকল্পনা করে ১৮ নম্বার আসামি আলমগীরের বাড়িত। সেখানে সব ছক করে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নাগের হাটের পাশে একটি খোলা মাঠে ৪০/৪৫ জন মিলে মিটিং করে। ৫ টি গ্রুপ করে।  প্রত্যক গ্রুপকে ৪/৫ করে আগ্নেয় অস্ত্র বিতরণ করেন এক বড় ভাই। 

নোমানকে ঐদিনই হত্যা করা হবে এমন পরিকল্পানা করে পোদ্দার বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তারা অবস্থান করেন। নোমানের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে আরো ৪০/৫০ অবস্থান নেয়।  অপারেশন শেষ করে কিলাররা নাগেরহাট দিয়ে ভাগ হয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

নোমান ও রাকিব হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন আসামী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালাতে বিচারক আনোয়ারুল করিমের আদালতে।

পুলিশ, র্যাব ও কাউন্টার ট্যারিজম ইউনিট  ১১ জনকে গ্রেপ্তার করলে  এখন ও কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবুল কাশেম জিহাদীকে পুলিশ এখোনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কাশেম জিহাদীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় নিহতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে বলে জানান।

উল্লেখ্য, ২৫ মে রাতে বশিকপুরের পোদ্ধার বাজারে যুবলীগনেতা নোমান ও  ছাত্রলীগনেতা  রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২৬ মে রাতে নিহত নোমানের ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ১৮ জন এজহার নামীয় আসামী ১৪/১৫ জন অঞ্জাত আসামী করে জোড়া খুনের মামলা দায়ের করা হয়।  মামলায় ২ নম্বার আসানি মশিউর রহমান নিশান ও রুবেল দেওয়ান কে ৫ দিনের রিমান্ড,  সবুজ,  নাজিম ও ছোট বাবলুকে ৩ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে ২ মে।

যাযাদি/ এসএম