শিবচরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে, স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় নির্যাতন 

মাদারীপুরের শিবচরে প্রেম করে বিয়ে করে এখন স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে না নিয়ে উল্টো মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে খালিদ মৃধা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত খালিদ মৃধা (৩০) শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মৃধা কান্দি গ্রামের পান্না মৃধার ছেলে।

ভুক্তভোগী জোসনা বেগম একই ইউনিয়নের মোজাফরপুর এলাকার মোসলেম মাদবরের মেয়ে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সুত্র জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে মোবাইল ফোনে কথা হয় খালিদ মৃধার সাথে। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।এরই সুত্র ধরে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

এদিকে গত কয়েকদিন আগে বিষয়টি খালিদের পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হলে জোসনার সাথে খালিদের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ২২ মে রাত ৯ টার দিকে জোসনার দুলাভাইয়ের বাড়ি  (পাচ্চর ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর) বসে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খালিদ জোসনাকে মারধর করেন।এতে জোসনা আহত হন। পরে জোসনাকে উদ্ধার করে তার আত্মীয় স্বজনরা শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

বর্তমানে জোসনা শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় গত ২৩ মে মেয়েটির মা শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে খালিদের  মুঠোফোনে কল দিলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এবিষয়ে জোসনা বলেন, সে আমাকে বিয়ে করেছে।আমি চাই সে আমাকে নিয়ে ভালোভাবে সংসার করুক।

মেয়েটির মা রুকিয়া বেগম বলেন,মেয়েটিকে বিয়ে করেছে।এখন বাড়িতে নিতে বললেই টালবাহানা করে।মাঝে মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।সেদিন বাড়িতে নেওয়ার কথা বললে আমার মেয়েকে মারধর করে। আমি এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষ বিচার চাই।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটির মা লিখিত অভিযোগ করেছে।আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।

যাযাদি/ এম