পুরাতন সাইকেল চালিয়ে সাতক্ষীরা থেকে টেকনাফে আসলাম 

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৩৪

মোঃ আরাফাত সানি, টেকনাফ প্রতিনিধি

মাদক ও ধুমপান কে না বলি, 'সাইকেল ভ্রমণ করি, সুস্থ সমাজ গড়ি" এই স্লোগানক'কে সামনে রেখে কাজী আসলাম নামের ৪৫ বছর বয়সী এক প্রবীণ ব্যক্তি সূদুর সাতক্ষীরা থেকে ৮ দিন সাইকেল চালিয়ে ৬'শ কিঃ মিঃ সড়ক দিয়ে তেতুলিয়া পৌঁছান। পরে সেি তেতুলিয়া থেকে প্রায় ১১'শ কিঃ মিঃ সড়ক পথ পাড়ি দিয়ে ১৭ দিনের মাথায় টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের জিরো পয়েন্টে পৌঁছান তিনি। 

এ সময় কাজী আসলাম 'যায়যায়দিনকে বলেন, সাইকেল ভ্রমণ শরীর ও মন দুটোই সুস্থ রাখে। দেশ বিদেশ ঘুরে জ্ঞান অর্জন করা যায়। কিশোর, তরুণ, প্রবীণ সবাই সাইকেল ভ্রমণ করতে পারে। আত্মহত্যার প্রবণতা ও হতাশা দূর করতে সাইকেল ভ্রমনে বেরিয়ে পড়া উচিত। পারিবারিক অশান্তি, পরীক্ষায় ভালো না করতে পারা, কর্মক্ষেত্রের প্রেশার মানুষকে অসুস্হ করে দেয়, কখনো কখনো আত্নহত্যায় প্ররোচিত করে। তরুনরা রোমাঞ্চকর অনুভূতির জন্য মাদকে আসক্ত হয়, স্পিডে জিকজ্যাক করে বাইক রাইড করে যা অনেক সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটায়। পাশাপাশি মাদক ও ধুমপান থেকে সবাই বিরত থাকার আহ্বান 

এ সময় বিভিন্ন টেকনাফ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ধুমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকতে সচেতন করেন।

আমি বলতে চাই হতাশা, পারিবারিক অশান্তি, মানুষীক প্রেশার দূর করতে সাইকেল ভ্রমন করুন। রোমাঞ্চকর স্বাদ নিতে চান, নেশা করতে চান, তাহলে ভ্রমণে পেরিয়ে পড়ুন এর থেকে বড় রোমাঞ্চ, বড় নেশা আর হয় না। সাইকেল চালানো একটা বড়ো ব্যায়াম, এটা আপনার শরীর সুস্হ রাখবে, ভ্রমনের আনন্দ আপনার মন ভালো ও সুস্হ রাখবে। আসুন সাইকেল ভ্রমণ করি ও সুস্থ সমাজ গড়ি।

কাজী আসলাম সাতক্ষীরা সদরের কাটিয়া মাঠপাড়া গ্রামের কাজী ইদ্রীস আলী পুত্র তার মাতার রওশন আারা ৬ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ৫ নং। এবং তার স্ত্রী এবং দু'টি সন্তান রয়েছে বলে জানান তিনি। টেকনাফে এসে পৌঁছালে সামাজিক সংগঠনে তরুণ শক্তি এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আব্দুল্লাহ, আবসার হোসাইন, রমজান আলী ও মোহাম্মদ রাসেল কাজী আসলাম'কে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানান।

যাযাদি/ এস