কুড়িগ্রামে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৩০

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় মাছ চাষী দুই ভাইয়ের পুকুরে কীটনাশক দিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। 

সোমবার (২ অক্টোবর ) দিবাগত রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত খবর আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান ও লুৎফর রহমান প্রতিবেশী জোগেন্দ্র নাথের দুই বিঘা আয়তনের পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। এবছর তারা ওই পুকুরে লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ ছাড়েন। মাছ গুলি বিক্রির উপযুক্ত হলে সোমবার দিবাগত রাতে সকলের অগোচরে কে বা কাহারা পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে। সকালে ঘুম থেকে জেগে মতিয়ার ও লুৎফর দেখেন সমস্ত পুকুরের মাছ মরে ভেসে আছে। পরে জাল নিয়ে এসে প্রায় ত্রিশ মন মরা অর্ধগলিত মাছ পুকুর থেকে তোলা হয়। আরও প্রচুর পরিমান মাছ স্থানীয়রা তুলে নিয়ে যায়। 

মাছ চাষী মতিয়ার ও লুৎফর জানান, লাভের আশায় মাছ চাষ করতে গিয়ে আমরা দুই ভাই নি:স্ব হয়ে পড়লাম। রাতের আধারে কে বা কাহারা শত্রæতা করে আমাদের এমন ক্ষতি করল আমরা জানিনা। আমাদের দুই ভাইয়ের সমস্ত বিনিয়োগ ধুলিস্বাত হয়ে গেল। আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেলাম।  

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথেই পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি পুকুরের সমস্ত মাছ মরে ভেসে আছে। স্থানীয় লোকজন মাছ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। পরে জাল নিয়ে এসে প্রায় ত্রিশ মন এর মত মাছ তোলা হয়। যার আনুমানিক বাজার মুল্য আড়াই লক্ষাধিক টাকা। তবে বেশির ভাগ মাছ পঁচা বিক্রির অযোগ্য হওয়ায় সামান্য কিছু মাছ বিক্রি করে জাল ভাড়া মিটানো হয়েছে।  এ ব্যাপারে মতিয়ার ও লুৎফরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃঞ্চ দেবনাথ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, কিন্তু কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম