খাটের নিচে মিলল নিখোঁজ শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ! আটক ২
প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজের ১দিন পর হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ পেচানো অবস্থায় ইরিনা নামের এক শিশুর দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের সাহাবউদ্দিনের বাড়ি থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় এ ঘটনার রহস্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম।
নিহত ইরিনা (৬) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের আসাদ মিয়ার মেয়ে। সে তার বাবার সঙ্গে শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্নাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত। তার বাবা পেশায় একজন কসাই।
আটক একজনের নাম সামিয়া আক্তার (১৫)। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। আটক অপর নারীর নাম জানা যায়নি।
নিহতের পরিবার জানায় , মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে বাসা থেকে বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে প্রতিবেশী দুই মেয়ে ইরিনাকে নিয়ে যায়। এসময় তার গালায় স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ছিলো। এদিকে ইরিনা দীর্ঘসময় বাড়ির বাহিরে থাকায় খুজতে শুরু করে তার বাবা আসাদ।
নিহত শিশুর বাবা আসাদ মিয়া বলেন, "মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ইরিনা ওইদিকে খেলতে গিয়ে রাত হলেও বাসায় ফিরেনি। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ওই রাতেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। অনেক রাতে পুলিশ তদন্তে যায়। পুলিশকে সন্দেহের তালিকায় থাকা দুজনের নাম বলি। পরে রাতে সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই দুজনের বাড়ির একটি কক্ষে খাটের নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ"।
মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি আরও বলেন" জিডির পর থানা থেকে তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শনে যায় এবং ঐ দুই বাচ্চা সাক্ষাৎকারও নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোন পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত হয়। তারপর আমি ঐ ঘরে তল্লাশি দিতে বললে, কাউন্সিলর বলেন তারা আমার পূর্ব পরিচিত। তাদের জিম্মা আমি নেবো। এই বলে আর তল্লাশি করতে দেয়নি। অথচ নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরই পাওয়া গেলো আমার মেয়ের গালা কাটা লাশ। নিহতের বাবার দাবি গহনার জন্যই হত্যা করা হয়েছে তার মেয়েকে।
তবে, আটক সামিয়া আক্তার বলেন," ওইদিন সন্ধ্যার আগে আমার কাছে আছে ইরিনা। সে বিয়েতে যাবে বলে এবং এজন্য তাকে সাজিয়ে দিতে বলে। পরে আমি তাকে সাজিয়ে দেই। পরে তাকে এগিয়ে দিতে বলে। এসময় একটি প্রাইভেটকারে আসলে রাসেল নামে একজন ডাক দিলে ইরিনা ওই গাড়িতে উঠে যায়। এরপর আমি চলে আসছি। রাসেলকে আগেও কোথায় জানি দেখেছি দেখেছি মনে হয়। এ কথা আমি ইরিনার মা'কে সেদিনই বলেছি"।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন," লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই শিশু নিখোঁজ হয়েছে মর্মে থানায় ডায়েরির পর উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। একজনের বাড়ি থেকে শিশুটির হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ লাগানো লাশ উদ্ধার হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
যাযাদি/ এস