শেরপুর মুক্ত দিবস- এ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৫
আজ ৭ ডিসেম্বর; শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় শেরপুর অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করেন বাংলার সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। এদিন ভারতীয় সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারযোগে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন।
জানা যায়, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার ডাক দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানের মত শেরপুরবাসী পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ হয়।
এদিকে ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক মর্টারশেলিং এর মাধ্যমে শেরপুর শহরে শনিবিগ্রহ মন্দিরের পূরোহিতকে গুলি করে হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। পাক সেনারা স্থানীয় দালালদের সহায়তায় শহরের দোকান-পাট লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দখল ও নির্মমভাবে হত্যাসহ ধর্ষণ প্রভৃতি অত্যাচার চালায়।
এদিকে কামালপুর দূর্গ পতনের পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর শালচূড়া ক্যাম্প ও আহাম্মদনগর ঘাটির পাকসেনারা পিছু হটতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে শেরপুর থেকে পিছু হটে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে গিয়ে জমায়েত হয়। এভাবে রাতের আধাঁরে শেরপুর পাকবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় এবং ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শেরপুর মুক্ত হয়।
ওইদিন মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লেঃ জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারযোগে পৌর পার্কে অবতরণ করেন। সেইসাথে একইদিন সকাল ১০ টায় বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে জেনারেল অরোরা বলেন, ‘আপনাদের দেশ স্বাধীন হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করছি, দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। জয়বাংলা।’
এদিকে শেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেরপুরের চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আনন্দ র্যালি,বের হয়ে শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন, পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উপস্থিত হয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ।
আলোচনায় উপ-সচিবও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মুক্তাদিরুল আহাম্মেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি শেরপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম । বিশেষ মোঃ তোফায়েল আহাম্মেদ উপসচিব-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, মোঃ রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান শেরপুর সদর উপজেলা, সদ্য যোগদান কৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু,এডভোকেট মুখলেছুর রহমান আকন্দ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ।
যাযাদি/ এস