নালিতাবাড়ীতে ভাগ্নেকে গলা কেটে হত্যা গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৮

নালিতাবাড়ী ( শেরপুর ) প্রতিনিধি

শেরপুরের  নালিতাবাড়ীতে  সাবেক  ইউপি চেয়ারম্যান  হাবিবুর  রহমান  হবি ,  হারেজ আলী ,  আমেলা  খাতুন  ওরফে  ঝর্ণার  মদদে আপন  ভাগ্নে  শাহ  কামাল  ওরফে  কদি  (৩৫) কে  গলাকেটে  হত্যা  করেছে  সারোয়ার  জাহান শান্ত ,  মোস্তফা  ওরফে  মস্তু ,  রাহুল  মিয়া  ।

পুলিশ  সংবাদ  পেয়ে  বৃহস্পতিবার  লাশ  উদ্ধার  করে  ময়না  তদন্তের  জন্য  শেরপুর প্রেরণ  করেছেন ।  হাবিবুর  রহমান  হবি  সহ ছয়জনকে  গ্রেপ্তারের  পর  আসামীদের সিকারোক্তিতে  হত্যাকান্ডে  ব্যবহৃত  ছুরি ,  রক্ত মাখা  গেঞ্জি ,  রক্ত  মাখা  জুতা ,  নেকরা ,  পুরা কম্বলের  অংশ  উদ্ধার  করেছে  পুলিশ ।

এব্যাপারে  শনিবার  বিকালে  নালিতাবাড়ী থানায়   সহকারী  পুলিশ  সুপার  মোঃ  দিদারুল ইসলাম  হত্যা  কান্ডের  ঘটনা  প্রেস  ব্রিফিং করেন ।

প্রেস  ব্রিফিং  সূত্রে  জানাগেছে  ২০১৯  সালে হাবিবুর  রহমান  ওরফে  হবির  সাথে  প্রতিবেশী ফজল  রহমানের  জমি  জমা  নিয়ে   বিরোধ ছিল ।  ওই  সময়  ফজল  রহমানের  পুত্র  ইদ্রিস আলী  ( ৩০ ) কে  গুলি  করে  হত্যা  করে আসামীরা  ।

ফজল  রহমানের  সাথে  বন্ধকী  জমি  নিয়ে শাহ  কামাল  কদির  বিরোধ  চলে  আসছিল । ফজল  রহমানের  লোকদেরকে  ঘায়েল  করার জন্য  শাহ  কামাল  কদিকে  হত্যার  পরিকল্পনা করে  হাবিবুর  রহমান  হবি  সহ  হত্যা  কারীরা । ২৫  জানুয়ারি  বৃহস্পতিবার  রাত  সাড়ে  নয়টার দিকে  হাবিবুর  রহমান  হবির  পরিত্যক্ত  ঘরে শাহ  কামাল  কদিকে  ডেকে  এনে  নৃশংস  ভাবে  গলা  কেটে  হত্যা  করে ।  নালিতাবাড়ী উপজেলার  বাইটকামারী  এলাকায়  (  কুত্তামারা )  সাকিনস্থ  সোরহাব  আলীর বাড়ীর  পিছনে  লিলু  খাল  পাড়ে  লাশ  ফেলে রেখে  আসে  হত্যাকারীরা । শাহ  কামাল  কদির মাতা  মোছাঃ  আছিরন  বেগম  বাদী  হয়ে নালিতাবাড়ী  থানায়  হত্যা  মামলা  দায়ের করেছে ।

শনিবার  দপুরে  গ্রেপ্তারকৃত  সারোয়ার  জাহান ওরফে  শান্ত  (২৬) ,  মোস্তফা  ওরফে  মস্তু (৩০),  রাহুল মিয়া  (২২),  হাবিবুর  রহমান  হবি, হারেজ  আলী ,  আমেলা  খাতুন  ওরফে  ঝর্ণা এদেরকে   আদালতে  সোর্পদ  করেছেন  পুলিশ  । আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবান বন্দি দিয়েছেন  হত্যাকারীরা ।  একই  উপজেলার   কুত্তামারা  (বাইটকামারী)  গ্রামের জুবেদ  আলীর  পুত্র  শাহ  কামাল  কদি ।

প্রেস  ব্রিফিং  এর  সময়  অফিসার্স  ইনচার্জ মনিরুল   আলম ভূঁইয়া  ও  ওসি  তদন্ত  আব্দুল লতিফ  উপস্থিত  ছিলেন  ।

 

যাযাদি/এসএস