কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক উখিয়ার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৬

উখিয়া ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাজ্য দখলকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী সংগঠন  আরাকান আর্মি  ও সেদেশের  সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে স্থল পথ ও আকাশপথে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এটি দিন দিন আরও ঘনীভুত হচ্ছ। টানা গুলি বর্ষণ, মর্টারশেলসহ বিস্ফোরণের শব্দ কম্পন বাড়ছে সীমান্ত এলাকাজুড়ে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর মর্টারশেলের আঘাতে এ পর্যন্ত  ১ জন বাংলাদেশী সহ  ২ জন নিহত  এবং ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতে বিল, ধামন খালী, পুটিবিলা ও আঞ্জুমান পাড়া এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু সহ টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেল ও প্রচন্ড গোলাগুলির    শব্দ শুনা যাচ্ছে। 

এ পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন কক্সবাজার  ও বান্দরবান প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহিন ইমরান ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন উদ্ভূত পরিস্থিতি আলোকে সীমান্ত এলাকার পরিদর্শন শেষে  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় অন্তত এক লাখের বেশি বাসিন্দা রয়েছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান মঙ্গলবার উখিয়ার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন কালে কক্সবাজার  জেলা প্রশাসক জানান, মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি, মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারের বসত ঘরে। এর প্রেক্ষিতে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নিদের্শনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউকে সরানো হয়নি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তেজনাকর। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।

তিনি জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। লোকজনকে আনতে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহযোগিতা করছেন।

যাযাদি/ এম