বসন্ত বাতাসে দুলছে ফসলের মাঠ কৃষক-কৃষাণী চোখে রঙিন স্বপ্ন

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮

মো. আবু হেনা আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)

হাওরে বুক ছিড়ে সবুজে ছেয়ে গেছে বোরো ফসলের মাঠ। বসন্ত বাতাসে বোরো ধান গাছ সবুজে সমারোহ ঢেউ খেলছে হাওর জুড়ে। সেই ঢেউয়ে কৃষক-কৃষাণীর মন আনন্দে ভরে চোখে বুনছে রঙিন স্বপ্ন।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ও আবহাওয়া অনুকূলে তাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৪ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড, উফশী ও দেশীয় প্রজাতির ধানের চাষ করা হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরোর চাষ করেছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ঘুরে দেখা যায়, সবুজের সমারোহে ভরে আছে ফসলের মাঠ। বসন্ত বাতাসে উঠেছে সবুজের ঢেউ। সোনালি ধান ফলানোর জন্য মাঠে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কৃষক।ভোরের আলো ফোটার পরই কৃষকরা কোমর বেঁধে  ফসলের মাঠে যাচ্ছেন। জমিতে করছে পরিচর্যা, কোথাও দেয়া হচ্ছে পানির সেচ। দীর্ঘ দৃষ্টিতে মাঠের দিখে তাকালে এক মহাযজ্ঞের দেখা মিলে। তাঁদের নিবিড় পরিচর্যায় আশানুরূপভাবে বেড়ে উঠেছে বোরো ধান গাছ।

আলাপকালে এক নম্বর সদর ইউনিয়নের কৃষক মো. সমর আলী বলেন, তিনি এবছর দুই একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বোরো ধান আবাদ করেছেন। শুরু থেকে সার কীটনাশক প্রয়োগসহ সঠিক পরিচর্যা করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে এবার বাম্পার ফলনের আশাবাদী তাঁরা।

আরো অনেকের সাথে আলাপকালে তাঁরা বলেন, এবছর জ্বালানি তৈলে, সার ও কিটনাশকের মূল্য বেশী হওয়ায়  জমিতে খরচও বেশী হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকার পাশাপাশি সঠিক সময়ে সেচ দেওয়ায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে তাঁরা। ধান পাকার পর তা নিরাপদে ঘরে তুলতে পারলেই লাভবান হবেন বলে আশা এসব কৃষকের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফে আল মুঈজ হাবিব বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।  আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী তিনি। সামনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে সোনালি ধানে হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে।

যাযাদি/ এসএম