সৈয়দপুরে রোলারের ভিতরে অভিনব কায়দায় রাখা ফেনসিডিল উদ্ধার

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:১৫

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের সুন্দরবন কুরিয়ার ও পার্শ্বেল সার্ভিস অফিসে অভিযান চালিয়ে বুকিং করার উদ্দেশ্যে রাখা বিভিন্ন সাইজের লোহার তৈরি রোলারের (মিলের) ভিতরে অভিনব কায়দায় রাখা ৩৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। তবে, পুলিশ অল্পের জন্য আসামী আটক করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত এসব আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ টাকা। 

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় পলাতক একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। 

থানা পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় শহরের সোহেলরানা মোড়ে টহল ডিউটি করছিল থানা পুলিশের একটি দল। এসময় গোপন সংবাদে তারা জানতে পারেন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে মাদকের একটি চালান ঢাকায় পাঠানোর জন্য বুকিং করা হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের টহল দল সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্তকে বিষয়টি জানান। 

পরে তারই দিক নির্দেশনায় সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) এসএম রাসেল পারভেজের নেতৃত্বে এসআই আহসান হাবিব, এসআই অপূর্ব চন্দ্র সরকারসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই কুরিয়ার সার্ভিসে অভিযান চালালে সেখানে ডেলিভারি সার্ভিস রুমে অন্যান্য মালামালের পাশাপাশি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়ানো চারটি লোহার তৈরি রোলার দেখতে পান তারা। লোহার রোলার প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়ানে দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। 

পরে ওই কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম ওরফে হীরাকে (৪১) জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে রোলারগুলো বুকিং করতে একটি সাদা কাগজ দেয়। সেখানে প্রেরক মো. জাবেদ খান, সৈয়দপুর এবং প্রাপকের নাম শফিউল, মোবাইল নম্বর উল্লেখসহ কোনাবাড়ি, ঢাকা লেখা ছিল। কিন্তু, তারা রোলারগুলো বুকিং না করে কৌশলে সেখান থেকে সট্কে পড়ে। তার দেওয়া এমন তথ্যে রোলারগুলো খুললে সেখানে ফেনসিডিল দেখা যায়। পরে উপস্থিত লোকজনের সামনে ওইসব রোলার থেকে ৩৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার এবং লোহার রোলারগুলো জব্দ করা হয়। 

পরে কুরিয়ার সার্ভিস অফিসের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ী মো. রানাকে শনাক্ত করা হয়। রানা দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর (চুড়িপট্টি) এলাকার মোক্তার হোসেনের পুত্র। বর্তমানে সে শহরের গোলাহাট এলাকায় বসবাস করে। 

এ ব্যাপারে রানার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে এসআই আহসান হাবিব বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। 

সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম রাসেল পারভেজ ৩৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদকর্মীদের জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। খুব শিগগির তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

যাযাদি/ এসএম