বোরহানউদ্দিনে ছেলের দায়ের কোপে মায়ের মৃত্যু, আহত ১
প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩১
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের সাত নাম্বার ওয়ার্ডে ছেলের ধারালো দায়ের উপুর্যপুরি কোপে খুন হলেন গর্ভধারিনী মা। মাকে বাঁচাতে এসে ধারালো দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয় পাশ্ববর্তী ঘরের নাজু মৃধার স্ত্রী জান্নাত বেগম ।
ওই নরপশু ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের দুলাল হাওলাদারের ছেলে রাহাত (৩০)। রাহাত এক সন্তানের জনক। নিহত মায়ের নাম নাসিমা বেগম (৪২)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ইফতারের বিশ মিনিট পূর্বে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খুনী রহাতকে আটক করেছে ।
থানা পুলিশ ও পাশ্ববর্তী ঘরের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বহুদিন থেকে খুনী রাহাত মানুষিক সমস্যায় ভুগছিল। সাত-আট বছর আগে মানুষিক রোগে সে পথে ঘাটে হাঁটতো। তবে গত তিন-চার বছর মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। খুনের দিন রাহাত ঢাকায় কামরাঙ্গীর চরের তাদের মুদি ব্যবসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে চলে আসে । বিকেলে স্থানীয় শান্তির হাঁট বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়িতে আসলে মা নাসিমার সাথে রাহাতের চিকিৎসার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে রাহাত উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মা নাসিমার মাথা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন কর। মা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে চাইলে ধারালো দায়ের কোপে নাসিমার দুই হতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে । খুনি রাহাতের দায়ের কোপে মা নাসিমা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পাশ্ববর্তী ঘরের নাজু মৃধা জানান, তার স্ত্রী জান্নাত বেগম ডাক চিৎকার শুনে মা নাসিমাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে । জান্নাতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নিলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়। কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন ।
এদিকে এ ঘটনায় মুহুর্তে এলাকায় জানাজানি হলে ওই বাড়িতে হাজার হাজার লোকজন এসে জড়ো হয় ।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ রশিদ নসু হাওলাদার জানান, তিনি ঘটনা শুনে দ্রুত সেখানে গিয়ে থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাহাতকে আটক করে লাশ থানায় নিয়ে যায় । বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহিন ফকির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাহাতকে আটক করে লাশ থানায় এনেছি । আইনি কর্যক্রম চলমান আছে ।
যাযাদি/এস