বিলাসপুরে আবারও শুরু রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ঐতিহ্য বলে ট্রল

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

প্রায় দুই বছর মোটামুটি শান্ত থাকার পরে আবারো উত্তপ্ত শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর। বুধবার (২৮-মার্চ) রাত আনুমানিক নয়টার সময় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়াচাঁন মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সী(২৫)গুরুতর আহত হয়। হাতবোমার আঘাতে পেটের নারী-ভুঁড়ি বেরিয়ে আসে।

পরে তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. কবির আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সজিব মুন্সি জলিল মাদবর গ্রুপের সদস্য।

জাজিরা থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিলাসপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারি এবং ফারুক মাদবরের সাথে আ: জলিল মাদবর ও সালেক মাদবর গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ রয়েছে। গত প্রায় দুই বছর টানা কয়েক মাস দফায় দফায় সংঘর্ষে কয়েক হাজার হাতবোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে প্রায় ডজনখানেক মামলা হয় জাজিরা থানায়।

যুগের পর যুগ ধরে বিলাসপুর বাসীর ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ট্রল করছেন নেটিজেনরা। গতরাতে সংঘর্ষের পর থেকে সবাই বলছেন বিলাসপুরের ঐতিহ্য আবারও শুরু হয়ে গেছে। তবে এবার মাজগে প্রায় দুই বছর তারা সংঘর্ষে জড়ানো বন্ধ রেখেছিলো। গতরাতের সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক হাতবোমা/ককটেল ফাটানো হয়।

"A K Rasel" নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন রমজান মাসেও ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রাখছে বিলাসপুর। "Robin Hossen" নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন বিলাসপুরে আবারও তাদের ঐতিহ্য ফিরে এসেছে। কেউ কেউ আবার লিখেছে শুধু "ঐতিহ্যের বিলাসপুর"। এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রল করছে নেটিজেনরা।

গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সালেক মাদবর এবং গত ইউপি নির্বাচনে আরেক পরাজিত প্রার্থী আ: জলিল মাদবরকে তাদের মুঠোফোনে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি। তবে চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারি জানান, আমাদেরকে ফাঁসাতে তাদের দলের লোকেরাই তাকে বোমা মেরে হত্যাচেষ্টা করেছে। আমরা শান্ত আছি কিন্তু তারা মারামারির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া গতরাতের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে মামলা নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/এসএস