শেষ মুহুর্তে ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট মেহেরপুরের ঈদ বাজার

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৬

মেহেরপুর প্রতিনিধি

জমে উঠেছে মেহেরপুরে ঈদের বাজার। রমজানের প্রথম দিকে বাজারে ক্রেতাদের দেখা না মিললেও এখন দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। রকমারী পণ্যে ক্রেতারা আকৃষ্ট হলেও চড়া দাম শুনে হতাশ হয়ে ফিরছেন অনেকেই। পোষাকের মানে ভিন্নতা না থাকলেও ডিজাইনের ভিন্নতায় দাম হাকানো হচ্ছে আকাশচুম্বি। ফলে বেশি সমস্যায় পড়েছ নি¤œ ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।

আর কয়দিন পর উদযাপিত হতে যাচ্ছে ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই উৎসব আর আনন্দ। আর এই উৎসবকে আন্দমুখর করতে মানুষ ছুটছে ঈদ বাজারে। দিনে চৈত্রের খরতাপ পেরিয়ে গ্রামের মানুষ যেমন দোকানে দোকানে ভিড় করছে তেমন রাতের আলো ঝলমল শপিংমলগুলোতে শহরের মানুষের জমজমাট ভিড়। বরাবরের মত এবার ঈদেও বাজার দখল করেছে বাহারী সব পোশাক। তবে প্রচন্ড গরমের কারনে সুতি পোষাকের দিকেই ঝুঁকছে ক্রেতারা। সারারা, ফ্লোর টাস, পাকিজা,কাতান ড্রেস,বিভিন্ন ধরনের গাউন সহ বাহারি নামের সব দেশি- বিদেশী পেশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। আর ছেলেদের কালেকশনের মধ্যে রয়েছে পঞ্জাবী, শার্ট ও জিন্স প্যান্ট। যুগের সাথে তাল মেলাতে ঝুঁকছেন ওইসব পোশাকের দিকে। গুনগত মান যাই হোক, শুধু নামের কারণে এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ঈদের সময় বাজারে পোষাকের দাম বেশি হলেও সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোষাক কিনে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা। তবে সম্প্রতি পোশাক শিল্পের বড় মোকাম বঙ্গ বাজার পুড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্ঠদের।

ক্রেতারা বলছে, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর পোষাকের দাম অনেক বেশি। তারপরেও সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পোষাক কিনতে হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, এবছর প্রথমদিকে ক্রেতা ছিলনা। তবে শেষ দিকে এসে বাজার জমে গেছে। বাজারে পোষাকের সরবরাহ ভাল আছে। দাম অনান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুন। ক্রেতারা তিনটার যায়গায় একটি কিনে বাড়ি ফিরছে।

মেহেরপুর বড়বাজার ব্যবসায় সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু যায়যায়দিনকে জানান, ট্যাক্স বেশি বাড়ায় বিদেশী পোশাকের দাম একটু বেশি, তবে দেশী পোশাকের দাম এবার কম।

মেহেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধাররণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল যায়যায়দিনকে জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যাবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষিভিত্তিক জেলা হিসাবে এখন মানুষ গম, ভট্টা, তামাক বিক্রি করে ঈদে তাদের পছন্দের পোষাক কিনছেন। বর্তমানে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।

 


যাযাদি/এসএস