উপজেলা নির্বাচনে তালতলীতে জনসংযোগ শুরু সম্ভাব্য প্রার্থীদের

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫২

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কাছাকাছি হওয়াতে তফসিল ঘোষনা হওয়ার আগেই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রচারণারসহ প্রচার করছেন সোস্যাল মিডিয়ায়। শহর ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ করছেন তারা। 

তবে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান দুই জনই প্রচারনা বেশি চালাচ্ছেন। বিভিন্ন চায়ের দোকান, সাংগঠনিক কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দলীয় অফিসে আড্ডা গল্পে প্রার্থীতা নিয়ে চলছে আলোচনা ও নানা জল্পনা কল্পনা।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এই নির্বাচনের ৪র্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে এপ্রিল মাসে। আর নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জুন মাসের প্রথম দিকে। তবে এইবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না। 

প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে সাধারণ প্রতীকে। এই উপজেলায় মোট ইউনিয়ন রয়েছে ৭টি। মোট ভোট রয়েছে ৮৯ হাজার ১০৯ জন। এর ভেতরে পুরুষ ভোটার হলো ৪৫ হাজার ১৭৪ জন ও নারী ভোটার হলো ৪৩ হাজার ৯৩৫ জন।

এদিকে নির্বাচন কমিশন এখনো তফসিল ঘোষনা না করলেও এখন থেকেই বেশ সাজ সাজ রব পড়ে গেছে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার ও সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু’র আগাম নির্বাচনী প্রচার আর জনসংযোগে মুখর হয়ে উঠেছে এ উপজেলার হাটবাজার ও জনপদ। 

এছাড়া তেমন কাউকেই দেখা যাচ্ছে না সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। জনসংযোগের অংশ হিসেবে এলাকার অসহায় মানুষদের সমস্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। এই প্রার্থীদের আত্মীয়স্বজনরা প্রতিটি গ্রামে গিয়ে ভোট ও দোয়া চাইতে শুরু করেছে। 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টার। তা ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিদিনই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এলাকায় মতবিনিময়, গণসংযোগ ও সমাবেশ এবং শোভাযাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা দিন-রাত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা রকম আলোচনা। 

কোথায় কোন প্রার্থী  জিতবেন বা কে হারবেন, এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে তর্ক-বিতর্ক।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, আমি ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এবারও নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্ততি নিয়েছি। এজন্য আগাম নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছি। কোনো দলীয় প্রতীক না থাকায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে সকল দলীয় ভোটে  জয় পাবেন বলে মনে করেন তিনি।

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, খুব কাছাকাছি নির্বাচন তাই তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। যেহেতু দলীয় প্রতীক থাকবে না সেহেতু আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন দেবে বলে আমি আশাবাদী। গত পাঁচ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন করায় উপজেলাবাসী আমাকে চায়।

যাযাদি/ এম