ভেদরগঞ্জে ভোট চাইছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

শাহাদাত হোসেন হিরু, ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরন বিধি ভংগের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সখিপুরের মুন্সীকান্দি এলাকায় জব্বার পল্লিতে ঈদ সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানে নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই সখিপুরের ভোটারদের কাছে বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের জন্য ভোট চেয়েছেন। যা নির্বাচনের বিধিমালায় প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভোট চাওয়া নিষেধ।

পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে স্থানীয় সংসদ সদস্য শরীয়তপুর ২ একেএম এনামুল হক শামীম এমপির একান্ত ও সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে দাবী করেন ।তবে দলীয়ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন এমপি মন্ত্রীরা প্রার্থীদের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। স্থানীয় এমপির স্বঘোষিত প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে বোঝেনা সমালোচনার ঝড়। এতে করে উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা এবং অবাদ নিরপেক্ষতা না পাওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। যে কোন সময় আইনশৃঙ্খলা বিগ্ন ও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে।

জেলা নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়,শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপের ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলার মধ্যে ২২ উপজেলায় ভোট হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা  করেছে নির্বাচন কমিশন। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনও হবে  ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে। নির্বাচনে থাকছে না আওয়ামী লীগের দলীয় কোন প্রতীক। ১৫ এপ্রিল প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ। ১৭ তারিখ প্রার্থীতা যাচাই বাচাই হবে। তবে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত কোনভাবে ভোটারদের কাছে কেউ ভোট চাইতে পারবেনা।এবংকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশনা দলীয় কোন এমপি মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন প্রার্থী হয়ে কাজ কিংবা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

এ বিষয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, আমাকে এমপি শামিম ভাই ও সখপুর থানা আওয়ামীলীগের প্রত্যাশীত প্রার্থী। ১৫ তারিখে মনোনয়ন ফরম জমা দিব। তবে প্রতীক দেওয়ার আগে ভোট চাওয়া নিষেধের বিষয়টি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আমি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলব।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার বলেন, দলীয়ভাবে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে কোন এমপি অথবা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবে না। যদি কেউ দলের শৃঙ্খলা ভাঙে তাহলে তার দায় জেলা আওয়ামীলিগ নিবেনা তাকেই নিতে হবে।

শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, এখনো মনোনয়ন জমা হয়নি, তার আগে কোন মতেই ভোট চাওয়া যাবে না।প্রার্থী ৫ জন মিলে জনসংযোগ করতে পারবে। আর যদি কেউ নির্বাচনী আচরনবিধ ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এস