সারিয়াকান্দি পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ পালন

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪০

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য   পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। 


এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে বর্ণীল সাজ-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে মঙ্গল শোভা যাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রাটি উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভা যাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান। 


 প্রধান অতিথি ছিলেন,বগুড়া- ১ আসন (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানা,বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু, সহকারী কমিশনার ভুমি সবুজ কুমার বসাক,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এমপি পুএ সাখাওয়াত হোসেন সজল এছাড়াও 

শোভাযাত্রা ও আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন স্কুল -কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এনজিও প্রতিনিধি, সুধিজন সহ গণমাধ্যম কর্মীগণ। প্রধান অতিথি বলেন, অতীতে বাংলা নববর্ষের মুল উৎসব ছিল হালখাতা। গ্রামে- গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের শুরুতে তাদের পরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন হিসাবের খাতা খুলতেন।


এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন। এবং নতুন ভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক যোগ সুত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙ্গালীর অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহি:প্রকাশ ঘটতে থাকে।


বক্তব্য শেষে অফিসার্স ক্লাবে, আলু ভর্তা, পাটের শাক, শুকনা মরিচ,ইলিশ মাছ ভাজা ও কাচা পেয়াজ দিয়ে পান্তা খাওয়া হয়। সারাদিন ব্যাপী উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অংগ সংগঠনের  অনুষ্ঠান উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে।

যাযাদি/ এস