চরভদ্রাসনে প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়েনি ভাড়া, যাত্রীদের সন্তোস প্রকাশ
প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গোপালপুর মৈনট নৈাপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করায় সন্তোস প্রকাশ করেছে ঈদ ফেরত ঢাকাগামী যাত্রীরা। চরভদ্রাসন উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে এ ধারা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান, গোপালপুর-মৈনট নৈাপথ দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাট হিসেবে পরিচিত। তবে বিভিন্ন উৎসবের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও রয়েছে এ ঘাটটি নিয়ে। বিশেষ করে দুই ঈদের তিন চারদিন পূর্বে ঘরমুখি মানুষের চাপ থাকে দোহরের মৈনট অংশে আর ঈদ শেষে যাত্রীর চাপ বাড়ে গোপালপুর অংশে। আর সে সুযোগটাই নিয়ে থাকে একটা বিশেষ শ্রেনী।
এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঈদের পূর্বে মৈনট ঘাটে যাত্রীদের কাছ হতে স্পীট বোটে ১৫০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা লঞ্চে ৭০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়। তবে ঈদের পর হতে গোপালপুর অংশ দিয়ে ঢাকাগামী যাত্রীরা পূর্বের ভাড়ায় যেতে পারছেন। ১৫ এপ্রিল সোমবার মৈনট অংশে সৃষ্ট সমস্যার কারণে স্পীড বোট বন্ধ করে দিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করে একটি পক্ষ। যা ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রীদের কাছ হতে সংগ্রহ করা হতো। তবে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম তাদের অনৈতিক দাবিকে প্রশ্রয় না দিলে এক পর্যায়ে তারা নির্ধারিত ভাড়াতেই আবার স্পীড বোট চালু করেন।
সদরপুরের আকোটের চর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ঈদের আগের দিন তিনি দুইশত টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ী এসেছিলেন। তবে যাওয়ার সয়য় বাড়া বেশী নিচ্ছে না এটা খুব ভালো লেগেছে তার। তিনি বলেন প্রশাসনের সুষ্ঠু তৎপরাতার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধারা অব্যাহত থাকে তার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশী থাকায় স্পীট বোট মালিকারা খালি বোটা আনতে হয় বলে জানিয়ে তারা ভাড়া বাড়ানোর দাবী করে। কিন্তু অত্র উপজেলা ও পার্শবর্তী উপজেলার যাত্রীদের কথা ভেবে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ভবিষ্যতেও গোপালপুর তারা অংশ দিয়ে চলাচলে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে না।
যাযাদি/ এসএম