বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় মাকে হত্যা

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৯

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রানু বেগম (৫৭) নামে এক নারীকে গলা কেটে করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত নিহতের ছেলে রাছেল (২৭) কে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খাঁনের স্ত্রী। এ ঘটনায় আতর খাঁন বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় স্ত্রী হত্যার বিচার চেয়ে ছেলেকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আতর খান ও রানু বেগম দম্পত্তির ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে অভিযুক্ত রাছেল সবার ছোট। সে দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিয়ে করার জন্য পরিবারকে চাপসৃষ্টি করে আসছে। রাছেলের স্থায়ী রোজগার না থাকায় দিনমজুর বাবা তাকে বিয়ে করাতে রাজি হয়নি। এতে রাছেল তার বাবা-মাকে হত্যার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য। 

অন্যথায় তার বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে সে। ঘটনার দিন সকালে আতর খাঁন জীবিকা নির্বাহের জন্য বাড়ি ত্যাগ করে। পরে দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে রাছেল মুঠোফোনে তাঁর বাবাকে জানায় তার মাকে কে যেন বসতঘরের বিছানায় জবাই করে ফেলে রাখছে। বাবাকে মুঠোফোনে এ তথ্য দিয়ে রাছেল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে আতর খাঁন বাড়িতে এসে দেখে তাঁর স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বসতঘরে বিছানায় পরে আছে। এসময় তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমকে জবাইকৃত মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খাঁন বাদী হয়ে ছেলে রাছেলকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত রাছেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাছেল তার মাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। রাছেলের দেখানো মতে তাদের বসতঘর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাস্তে (আলকাছি) জব্দ ও তার রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়েছে।

যাযাদি/ এস