মেঘনায় জোরপূর্বক জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগ
প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৪, ১৯:৩৩

কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলার লুটেরচর গ্রামের দক্ষিণ পাশে মেঘনা-হোমনা যাওয়ার হাইওয়ে রাস্তা থেকে শ্যামলীমা প্রজেক্ট পর্যন্ত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের রাস্তার কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে ) কাজ চলাকালীন সময় জোড়পূর্বক জমি দখল করা ও মারামারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লার বিজ্ঞ দাউদকান্দি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ্য করে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।
বাদী আইনী লড়াইয়ে কুমিল্লার লাকসাম সিনিয়র জজ আদালত থেকে ২৯/০৫/২৪ তারিখে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও নিয়ে আসেন যাহাতে উল্লেখ্য আছে আগামী ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত নালিশী ভূমিতে উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থার আদেশ বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া গেল। কিন্তু কোর্টের এই আদেশ অমান্য করে চলছে শ্যামলীমা সমবায় সমিতির লিমিটেড এর রাস্তার কাজ। মামলাদীন ভূমি হচ্ছে বি, এস ১৩৮৬ ও ৩৫৫ সাবেক ৬১২,৬১৩,৭৫১,৬১৪,৫৬৪ মোট ১১৪ শতক ভূমির উপর মামলা চলমান।
শ্যামলীমা সমবায় সমিতির লিমিটেড এর সাধারণ সম্পাদক মেঘনা উপজেলার সাবেক ইউ এন ও বর্তমান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ( রাজউক) পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল হকের সাথে কথা বললে বলেন, এখানে এলজিইডি একটা প্রকল্পের কাজ করতেছে যারা অভিযোগ করছে তারা হালোডের জায়গা দখল করে আছে কিন্তু এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুল ইসলাম সিকদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন শ্যামলীমা প্রজেক্টে এখন কোন এলজিইডির কাজ করতেছে না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক তাদের ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল করে রাস্তা নির্মান করছে, সরকারি কোনো প্রকল্প নেই, নেই কোনো সরকারি অনুমোদন তাহলে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাকের ডগা দিয়ে কি করে এমন অবৈধ রাস্তা নির্মাণ করে এমটাই অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে খাসজমি নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং খাস জমির বাইরে কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছি। এই রাস্তা নির্মাণের নামে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাঝে টাকার অংঙ্ক পারসেন্টিস হিসেব ভাগাভাগি হয় বলে গুঞ্জন রয়েছে। সাধারণ মানুষ বাধা দিতে গেলে তাদেরকে হামলা মামলা ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের আতঙ্কে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
যাযাদি/ এসএম