শৈলকুপায় টুং-টাং শব্দে মুখরিত কামারশালা
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ১৮:৫৪

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দশ দিন। কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য দিন-রাত একাকার করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কর্মকাররা ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার কামারশালাগুলো।
বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) উপজেলার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন লোহার সামগ্রীর।
কোরবানিকে সামনে রেখে কয়লার আগুনে রক্তিম আভা ছড়িয়ে লোহায় পড়ছে হাতুড়ির আঘাত। আঘাতে আঘাতে রূপ নিচ্ছে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা, বঁটিসহ হরেক রকমের জিনিসপত্র। অক্লান্ত পরিশ্রম করে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বটিতে পরিণত করতে এসব লৌহজাত বস্তুতে শান দিচ্ছেন কেউ। কেউ বা আবার সহকর্মীর কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।কর্মকারদের তৈরীকৃত এসব লৌহজাত সামগ্রী আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।
শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের নিশিত কর্মকার বলেন, 'কোরবানির আরো কয়েক দিন বাকি রয়েছে। এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। গত কয়েক বছর ব্যবসা খারাপ হলেও এ বছর আগের তুলনায় বিক্রি অনেকটা ভালো হবে বলে আশা করছি।'
কামারশালায় আসা ক্রেতা আলী রেজা বলেন, 'কামারশালার জিনিসপত্রের দাম অন্যান্যা বছরের চেয়ে একটু বেশি। একটি চাপাতি ও একটি বটি ১ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনেছি।'
নগেন কর্মকার বলেন, 'কোরবানি সামনে রেখে মানুষ আমাদের কাছ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় দাম তেমন বাড়েনি। ছুরির ধরন বুঝে দামের পার্থক্য রয়েছে।আকারভেদে প্রতিটি ছুরি ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা করে বিক্রি করছি।'
কামারশালায় ছুরি ও দা কিনতে আসা ইব্রাহীম খলীল বলেন, 'আগের ছুরি ও দা পুরনো হয়ে গেছে। যার জন্য নতুন করে কিনতে এসেছি।'
রিপন কর্মকার বলেন, 'নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা জিনিসপত্রের দাম বাড়াইনি। ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটি আগের দামেই বিক্রি করছি।'
যাযাদি/ এম