ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক বজ্রপাতে দুইজন নিহত

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ১৬:৩৬

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
-ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক বজ্রপাতে মো. কালু মিয়া-(৪৫) ও মো. জনি মিয়া-(২৫) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর ও নবীনগর উপজেলার বাইশমৌজা এলাকায় পৃথক এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
 

নিহত কালু মিয়ার বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামে ও নিহত জনি মিয়ার বাড়ি সরাইল উপজেলার পানিশ্বর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আশুগঞ্জের একটি বাজারে গরু বিক্রি করে কালু মিয়া ও তার ভাতিজা হোসেন মিয়া বাড়ি ফেরার পথে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে পৌছলে হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজা আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালু মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন। হোসেন মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

অপরদিকে নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা বাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে বালিবাহী নৌকায় ছিলেন জনি মিয়া। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে জনি মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা জনিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাহিদ আহমেদ বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই কালু মিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা এলাকায় মেঘনা নদীর মাঝখানে বজ্রপাতের ঘটনায় নৌকায় থাকা জনি মিয়া নিহত হয়েছে। 

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, নিহত জনি মিয়ার বাড়ি উপজেলার পানিশ্বর গ্রামে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

যাযাদি/ এসএম