ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৪, ১৭:১৭

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের ভাগ্নে নাজমুল হোসেন হীরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

হীরার বিরুদ্ধে চিনি চোরাচালানিতে সম্পৃক্ততাসহ পর্নোগ্রাফি মামলা রয়েছে। কোর্টের আদেশে ২ দিন পর আজ মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে পর্নোগ্রাফি মামলার আদেশ আদালতে পৌঁছায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায়। মামলাটি এফআইআরভূক্ত করা হয়েছে।

গত রোববার (২৪ জুন) রাত দেড়টার সময় পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ জেলা শহরের গাঙ্গিনাপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে, রাতেই তাকে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। বিষটি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি চোরাচালানি একটি মামলার তদন্তের সময় নাজমুল হোসেন হীরার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে এক সপ্তাহ ধরে নজরদারিতে রাখা হয়েছিলো। 

অবশেষে রোববার রাতে ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই আমরা। চিনি চোরাচালানিতে আরও যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। হীরাকে আদালতে প্রেরণ করলে ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

রোববার (২৩ জুন) কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, তার বড় ভাই মোল্লা বাবুল ও ভাগ্নে নাজমুল হোসেন হীরার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে আমলগ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আদালতে মামলা করেন এক নারী। পরে ঐ আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সনের ১৫ মার্চ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ভাগ্নে ভুক্তভুগী ঐ নারীর এক বান্ধবীর বাসায় তার সাথে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করে। এসময় তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। 

পরবর্তীতে, ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তিনজন কয়েক লক্ষ টাকা, মোটরসাইকেল ও দামি মোবাইল ফোন আদায় করে ঐ নারীর কাছ থেকে। ইদানিং ওই নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মামলা করেন ভুক্তভূগী নারী।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, আজ মঙ্গলবার (২৬ জুন) পর্নোগ্রাফি মামলার কোর্টের আদেশ পেয়েছি। আদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

যাযাদি/ এম