বিষ মিশানো খাবার খেয়ে একই পরিবারের ৮ জন হাসপাতালে
প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৩০

ফরিদপুরের সালথায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এক কৃষকের বাড়িতে খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে একই পরিবারের ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার ওই কৃষকের পরিবারের পক্ষ থেকে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। বিষক্রিয়ায় অসুস্থতা হলেন- ডালিয়া বেগম (৩৫), ডালিয়ার মেয়ে যূথী (১৬), একই পরিবারের পপি (২৫), হৃদয় (১৬), ফাতেমা (৮), মীম (৯), অনিতা (২২) ও রাজিব (২০)। এদেরকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসী ও অসুস্থ কৃষকের পরিবার সূত্র জানা যায়, কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জয়নাল মাতুব্বরের বাড়িতে গত শনিবার আত্মীয়-স্বজনদের পিঠার দাওয়াত করা হয়। এ সময় সম্রাট মাতুব্বর (৩৬) নামের এক প্রতিবেশী পূর্ব বিরোধের জেরে ওই পরিবারের গরুর গোশতের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ করে জয়নালের পরিবার। পরে রাত ৮টার দিকে রাতের খাবার খাওয়ার আধাঘণ্টা পর একে একে ৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কিছুটা সুস্থ বোধ করায় পরদিন রোববার বাড়িতে গেলে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে সোমবার দুপুরে আবার হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন তারা।
এদিকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সম্রাট মাতুব্বরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে খাবারে বিষ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সম্রাট মাতুব্বরের ভাবী রুমা বেগম। তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে কে বা কারা খাবারে বিষ মিশিয়েছে, তা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবেন। যারা খাবারে বিষ মেশানোর কথা যারা বলছেন, তারাও তো আমাদের আত্মীয়। সম্রাট কেনইবা খাবারে বিষ দিতে যাবে। ওই রাতে খাবারে কে বিষ দিয়েছেন সেটা তো কেউ দেখেনি। আমিও চাই যে খাবারে বিষ দিয়েছেন তার বিচার হোক।’
এ ব্যাপারে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। রোগীদের আজই হাসপাতালে দেখতে যাব। এর সাথে যারা জড়িত তাদের কঠোর বিচার দাবি করছি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের অভিহিত করেনি। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/ এসএম