কোটা আন্দোলনের জেরে ব্যাপক সহিংসতা ঠেকাতে জারি করা কারফিউ শিথিল করেছে সরকার। এতে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল ধীরে ধীরে বাড়ছে। বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো।
একই সঙ্গে সড়কে বের হওয়া মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
এই পরিস্থিতিতে কারফিউ জারি করা হয়। তিন দিন পর আজ বুধবার খুলেছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। কারফিউ শিথিলের সুযোগে রাস্তায় বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ফিরেছে সীমিত পরিসরে, স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরে পাঁচ্চর বাসস্ট্যান্ড ও বন্দরখোলা স্ট্যান্ড ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। কয়েকটি বাসস্টপেজে কিছু যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
পাঁচ্চর গোল চত্বর স্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় থাকা কামরুল ইসলাম বলেন, আজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। একের পর এক বাস আসছে। তবে এখনো জনমনে কিছুটা শঙ্কা আছে। কী হতে পারে তা বলা মুশকিল।
ঢাকা গামী একটি বাসের যাত্রী রুবেল মিয়া যায়যায়দিনকে জানান, কারফিউ শিথিল হওয়ায় স্বস্তি নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে। রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের ভয় আর থাকছে না।
জুবায়েল নামের এক বাসচালক বলেন,কারফিউ জারি করার করনে বাস চালাতে পারিনি এতে ইনকাম পুরোপুরি বন্ধ ছিল, কষ্টেই ছিলাম। ঘর থেকে বের হতে পারিনি। আজ গাড়ি সিরিয়ালে দিলাম।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বাসা থেকে বের হতে পেরে স্বস্তি জানিয়েছেন লিটন খান নামে একজন। বুধবার পাঁচ্চর এলাকায় তিনি যায়যায়দিনকে জানান, কয়েক দিনের বন্ধে হাঁপিয়ে উঠেছি। হাতে টাকা-পয়সা নেই। সেজন্য ব্যাংকে টাকা তুলতে যাচ্ছি।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ যায়যায়দিনকে জানান, পদ্মা সেতুর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বেড়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ টহলে রয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও কারফিউ চলাকালীন এখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
যাযাদি/ এম