চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি : যায়যায়দিন

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্রোহ করতে চেয়েছিলেন কিছু কয়েদি। কারাগারের বাইরে থেকেও একদল দুর্বৃত্ত প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা চালায়। এ সময় কারারক্ষীরা রাবার বুলেট ছুঁড়েন এবং ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে কারাগারে সব গেট নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কারাগারে  বিদ্রোহ শুরু হয়। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো চলে এই গোলাগুলি। এসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কারাগারের আশপাশের এলাকায়। এই ঘটনায় কয়েকজন কয়েদি আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গেটের দায়িত্বে থাকা আক্তার জানান, দুপুরে নামাজের পর হঠাৎ কারাগারের একাধিক ভবনে কয়েদিরা বিদ্রোহ শুরু করেন। আমাদের পক্ষ থেকে ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। আমাদের কারারক্ষীদের সঙ্গে এখনো আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের অনেক কারারক্ষী আহত হয়েছেন। 

স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের পর থেকে কারাগারের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। ধারণা করছেন, কারাবন্দিরা মুক্তির দাবিতে ভেতরে ‘বিদ্রোহ’ শুরু করেছেন। এ কারণে হয়তো গুলি করে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারাগারের প্রধান গেটসহ কারাগারের সব গেট নিয়ন্ত্রণে নেয়। কারাবন্দিদের স্বজনরা প্রধান গেটে এসে জড়ো হতে থাকে। পরে বাইরের দিকে উত্তেজনা তৈরি হলে কারা কর্তৃপক্ষ নিরপাত্তায় গুলি চালায়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের মধ্যে ২৫ জনের মতো জঙ্গী, মহিলাসহ ১৫০ জনের মতো কুকি-চিন সদস্য এবং শতাধিক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কারাগার থেকে অনেক আসামি ছাড়া পাচ্ছেন তাই চট্টগ্রাম কারাগারের বন্দিদেরও মুক্তি কেন দেওয়া হচ্ছে না—এজন্যই তারা বিদ্রোহ করেছে। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সি‌নিয়র জেল সুপার শ‌ফিকুল ইসলাম জানান, ‌কিছু বিশৃঙ্খল প‌রি‌স্থি‌তি ঠেকাতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গু‌লি করেছেন। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কারাগারের অভ্যন্তরে আর বা‌ইরে সেনাবা‌হিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট বিকেলে কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ ও কারারক্ষীরা হামলা প্রতিরোধ করেন। বর্তমানে কারাগারে প্রায় ৪ হাজারের বেশি বন্দী রয়েছে। কারাবন্দিদের রাখার জন্য পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ভবনের প্রতিটিতে বন্দি রাখার ধারণক্ষমতা ৩০০ জন। সাংগু, কর্ণফুলী ও হালদা ভবনের প্রতিটিতে বন্দি রাখার ধারণক্ষমতা ২৪০ জন।

যাযাদি/ এসএম