আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা পুলিশে সংস্কারের দাবিতে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং জেলার ৭টি থানায় পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ সদস্যরা ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় পুলিশ লাইনের সামনে থেকে একটি মোটর শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ। এতে জনমনে স্বস্তি দেখা গিয়েছে।
পুলিশ সদস্যরা জানান, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন কে কেন্দ্র করে। দেশব্যাপী পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর বেশ কিছু দাবিতে গত ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন। পরে তারা সরকারের কাছে যেসব দাবি জানিয়েছিল তার বেশিরভাগই মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এজন্যই তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এবং তারা আশা রাখেন সবাই সুন্দরভাবে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরবেন।
জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম জানান, বেশ কিছুদিন আমাদের একটা অস্থিরতা চলছিল। আমাদের বাইরে কোন কাজকর্ম ছিল না। কিন্তু প্রত্যেকটি থানাই আমাদের ফোর্স অফিসার ছিল। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা, স্থাপনার নিরাপত্তা, অস্ত্র গোলাবারুদের নিরাপত্তা সহ নিরাপত্তা বিধান করছিলাম।
আমাদের ইন্টার্নাল কাজগুলো অব্যাহত ছিল আজকে থেকে আমরা একেবারে পুরোদমে স্বাভাবিকভাবে পুলিশের সমস্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবং এবং জনগণ এটাকে খুবই সুন্দর ভাবে ওয়েলকাম জানিয়েছেন। আমরা এই কয়দিনে একটি জিনিস বুঝতে পেরেছি রাষ্ট্র এবং সোসাইটির একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের জন্য।
পুলিশ সুপার বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে জেলায় কোনো সরকারি স্থাপনায় হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের স্থাপনা অক্ষত রয়েছে। কর্মবিরতির পর পুলিশ সদস্যরা পুনরায় কর্মস্থলে ফিরে আসায় জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।
যাযাদি/ এম