গোবিন্দগঞ্জে বস্তায় আদা চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান কৃষক বেড়েছে পতিত জমির ব্যবহার

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪৫

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরিত্যক্ত স্থানে  আদা চাষ করে লাভবান হওয়ায় কৃষক পর্যায়ে বেড়েছে বস্তায় আদা চাষ। প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতির আদা  চাষে রোগ বালাই ও পরিচর্যা ব্যয় কম হওয়ায় আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বাড়ির আঙ্গিনা, আশেপাশে ও বিভিন্ন ফল বাগানের নিচে সহজেই এর চাষ করা যায় বলে পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার বেড়েছে বলে মনে করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

 উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের  বিভিন্ন এলাকায় খুব সহজেই বাড়ির আঙ্গিনায়, আশপাশে ও ফল বাগান কিম্বা গাছের নীচে ছায়াযুক্ত স্থানে এর চাষ হয় বলে দিন দিন কৃষক পর্যায়ে বস্তায় আদা চাষ সম্প্রসারণ  হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বৈরাগীর বাজার গ্রামের কৃষক চঞ্চল মিয়া গত বছর ৬ শ’ বস্তা আদা চাষ শুরু করেন। খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হওয়ায় এবার তিনি বসতবাড়ির আঙ্গিনায়, আশপাশ এবং ফল বাগানে প্রায় ১৭শ’ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এছাড়াও পৌর সভার খলসী গ্রামের শহিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমানসহ আনেকেই এবার বস্তায় আদা চাষ করছেন।  

 চঞ্চল মিয়া বলেন পরিমান মত মাটির সাথে কৃষি উপকরন মিশিয়ে বস্তায় আদা রোপন করে কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝকি, রোগবালাই ও পরিচর্যা ব্যয় বেশ কম। আর খুব সহজেই এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করা যায়। এছাড়াও পরিচর্চার ক্ষেত্রে বেশ সহজ হয় বলে এই পদ্ধতির আদা চাষকরে বেশ লাভবান হয়েছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে জেলায় এ বছর ৫শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪শ’ কৃষক ৮৫ হাজার বস্তায় আদা আবাদ করছেন। যা থেকে মোট ৮ হাজার ২শ’ ৬০ মেট্রিক টন আদা উৎপদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতেই ৩০হাজার ৩শ বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। আগামীতে বস্তায় আদা চাষের পরিধি আরো বাড়বে বলে মনে করেন কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিলাস কুমার ভট্টাচার্য, যত্রতত্র বস্তায় আদা চাষ আবাদে পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার বাড়ছে।  আগামীতে এই পদ্ধতিতে আদা চাষ  যাতে আরো বাড়ানো যায় সেজন্য কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করা হচ্ছে।   

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন যারা বস্তায়  আদা চাষ করছেন এই ধরণের কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তিগত ও কারিগারি সহযোগিতার পাশাপাশি সব ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

যাযাদি/এসএস